পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ছত্তিশগড়ে ফের নিরাপত্তা বাহিনীর এনকাউন্টারে নিহত ৯ মাওবাদী। মহারাষ্ট্রের সীমান্তে তেকমেটা জঙ্গলে মাওবাদীদের সঙ্গে এসটিএফ, ডিস্ট্রিক রিজার্ভ গার্ডের যৌথ অভিযানে গুলির লড়াই চলে। এই অভিযানে নিহত হয় ৯ মাওবাদী। মৃতদের মধ্যে তিনজন মহিলা।
উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মা বলেন, সোমবার রাতে ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুর এবং কাঙ্কের জেলার সীমান্তের একটি জঙ্গলে নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে তিন মহিলা সহ নয়জন নকশাল নিহত হয়েছে। মাওবাদীদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। শর্মা আরও জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি একে ৪৭ রাইফেল, অন্যান্য অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তিনি এই অভিযানটিকে একটি বড় সাফল্য বলে উল্লেখ করেছেন। শর্মা সাফল্যের জন্য নিরাপত্তা কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি মাওবাদীদের কাছে অস্ত্র ছেড়ে মূল স্রোতে ফিরে আসার আবেদন জানান।
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোর ৬টার সময় কাকুর গ্রামের অভুজবাদ এলাকায় তেকমেটা জঙ্গলে ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) এর একটি যৌথ দল মাও বিরোধী অভিযানে নামে। গুলি বিনিময়ে ৯ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়।
মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাঁই জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার আলোচনার মাধ্যমে মাওবাদী সমস্যা সমাধানে আগ্রহী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যদি মাওবাদীরা সরকারের সঙ্গে ভিডিয়ো বার্তায় কথা বলতে চায়, আমরা তার ব্যবস্থা করব। পুণর্বাসনের ব্যবস্থা করতে প্রস্তুত আছি। আমরা চাই তারা মূলস্রোতে ফিরে আসুক, বস্তারে শান্তি বিরাজ করুক এবং সেখানে উন্নয়ন হোক।
প্রসঙ্গত পুলিশের বিবৃতি অনুসারে, নারায়ণপুর এবং কাঙ্কের সহ সাতটি জেলা নিয়ে রাজ্যের বস্তার জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে পৃথক সংঘর্ষে এই বছর এ পর্যন্ত ৮৮ জন নকশাল নিহত হয়েছে। গত ১৬ এপ্রিল নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে ২৯ জন মাওবাদী নিহত হয়। এই ঘটনার ঠিক ১৫ দিন পরে ফের বড়সড় সাফল্য এল বাহিনীর ঝুলিতে। ওই দিনের ঘটনায় একাধিক একে-৪৭ বন্দুক এবং বেশ কিছু গ্রেনেড উদ্ধার হয়। মৃত ২৯ জনের মধ্যে ছিলেন শীর্ষ মাওবাদী নেতা শঙ্কর রাও বলে জানা যায়।