পুবের কলম প্রতিবেদক: এবার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হস্তশিল্পের বাজার ধরতে ১২টি মউ স্বাক্ষর করল রাজ্য। জানা গিয়েছে, সরস মেলা বিক্রির দিক থেকে দেশের সেরা হওয়ায় রাজ্য সরকার বিভিন্ন জেলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের তৈরি নানা রকমের হস্তশিল্প নিয়ে রাজ্যের সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আঞ্চলিক সৃষ্টিশ্রী মেলার আয়োজন করা হচ্ছে রাজ্য সরকারের পঞ্চায়েত দফতরের উদ্যোগে। পাশাপাশি, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হস্তশিল্পের বিশ্ববাজার ধরতে হস্তশিল্প বিক্রিতে আগ্রহী বেশ কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে ১২টি মউ স্বাক্ষর করেছে পঞ্চায়েত দফতর।
ইতিমধ্যেই, সৃষ্টিশ্রী মেলা শুরু হয়েছে দুর্গাপুর, মালদহ ও মেদিনীপুরে। ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই মেলা। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম ও উত্তর ২৪ পরগনার হস্তশিল্পীরা তাঁদের পসরা নিয়ে হাজির থাকছেন দুর্গাপুরের মেলায়। দুর্গাপুর হাটের স্থায়ী স্টলগুলিকে পসরা রাখার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। রয়েছে উন্নত মানের শিল্পসামগ্রী নিয়ে বিশেষ প্রদর্শনী ও প্যাভিলিয়ন করার পরিকল্পনাও।
রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন, ‘রাজ্যে স্বনির্ভর দলের সংখ্যা ১১ লক্ষ ৬০ হাজার। এই সংখ্যা অন্য সব রাজ্যের থেকে বেশি। এখন বহু গোষ্ঠীই উন্নত মানের যেসব হস্তশিল্প তৈরি করছে বিদেশেও তার চাহিদা আছে। আন্তর্জাতিক বাজার ধরতে তাই বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে ১২টি মউ স্বাক্ষর হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এর পাশাপাশি রাজ্যে আঞ্চলিক বাজার বাড়াতে আমরা রিজিওনাল সৃষ্টিশ্রী মেলা করছি। এই মেলায় মানুষ যেমন আয় করবেন, তেমনি দুর্গাপুরের মানুষ বাঁকুড়ার টেরাকোটা, পুরুলিয়ায় মুখোশ, বীরভূম-কাটোয়ার কাঁথা স্টিচ কিনতেও পারবেন। বাংলার নানা প্রান্তের হস্তশিল্প বিক্রিতে আগ্রহী বিপণন সংস্থাগুলির চুক্তির ক্ষেত্রে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট লাইভলিহুড মিশনের সাহায্য নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে মউ স্বাক্ষর হওয়ায় বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর উৎপাদিত জিনিস এখন জনপ্রিয় বিপণি অ্যাপগুলির মাধ্যমেও বিক্রি হচ্ছে।’