পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ আরও একটি পদক্ষেপের মাধ্যমে ফরাসি মুসলিমদের দমনের চেষ্টা শুরু হল। ফ্রান্স সরকার তাদের স্বরাষ্টÉমন্ত্রকের অধীনে একটি ধর্মনিরপেক্ষতা বিষয়ক অফিস খুলেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই অফিসটির মাধ্যমে আসলে মুসলিমদের টার্গেট করা হয়েছে। কিন্তু সরকার বলছে– মুসলিমদের মনে দেশপ্রেম জাগ্রত করতেই নয়া দফতর খোলা হয়েছে। ফ্রান্সের সরকারি সংস্থা
‘Committee for the prevention of crime and radicalisation’ এক ট্যুইটে জানিয়েছে, ‘লাইসিতে’ বা ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ হল প্রথম স্বাধীনতা। কিন্তু ফ্রান্সের ক্ষেত্রে ধর্মনিরেপক্ষতা বা লাইসিতের সংজ্ঞাটা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই কঠোর। ফরাসি রাজনৈতিকরা ধর্মনিরপেক্ষতার আড়ালে দেশে ক্রমবর্ধমান মুসলিম জনসংখ্যার প্রতি বৈষম্যবাদী নীতি গ্রহণ করেছেন। ফ্রান্সে প্রতিষ্ঠিত ধর্মনিরপেক্ষ কমিটির আসল কাজ হবে মানুষকে বিশেষত মুসলিমদের এটা বোঝানো যে– লাইসিতেই পারে প্রত্যেকের ধর্মচর্চাকে নিশ্চিত করতে– কারণ এ দেশের কোনও সরকার ঘোষিত ধর্ম নেই। ফ্রান্স সরকারের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করছেন বহু মানুষ। অনেকে একে হাস্যকর বলে মন্তব্য করছেন। ধর্মচর্চায় সরকার যে নিরপেক্ষ অবস্থান নেওয়ার দাবি করেছিল সেটিও সত্যের থেকে বেশ দূরে সরে গিয়েছে। কারণ, ফ্রান্স এর আগে দেশের মুসলিমদের বিরুদ্ধে গিয়ে একাধিক নীতি গ্রহণ করেছে। এগুলোর মধ্যে একটি হল ‘চার্টার অফ ইমামস’ বা ইমাম সম্পর্কিত হুকুমনামা। এই নীতির মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর সরকার ইসলামের সংস্কার ঘটিয়ে ফ্রান্সের জন্য নয়া ইসলাম ধর্ম প্রবর্তনের চেষ্টা করেছেন। এই চার্টারটি জানুয়ারি মাসে প্রথম প্রকাশিত হয় যার বিরোধিতায় সরব হয় দেশ-বিদেশের বহু মুসলিম সংগঠন। এরই পাশাপাশি সরকার দ্বারা ইমাম নিয়োগ ও মসজিদে নজরদারির মতো বিতর্কিত বিষয়গুলি নিয়েও মুসলিমদের মনে ক্ষোভ জমতে থাকে।