পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ বেজে গেছে পুরভোটের ঘন্টা। আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভার ভোট। ইতিমধ্যেই প্রস্তুতিতে সব দল। আর সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করাতে তৎপর নির্বাচন কমিশন। এবার ভোটের আগে কমিশনের তরফে জারি হল একগুচ্ছ বিধিনিষেধ। নির্বাচনের ৪৮ ঘন্টা আগে বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। নিরাপত্তারক্ষীকে সঙ্গে এলাকায় ঘুরতে পারবেন না কোনও মন্ত্রী। বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ। ভোটের ৪৮ ঘন্টা আগে বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে কোনও দেওয়াল লিখন থাকবে না। তেমনিভাবে থাকবে না কোনও প্রতিশ্রুতি সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন। মাইকের ব্যবহার করা যাবে সকাল ৮ থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।
এদিকে এবার করোনা রোগীরা যাতে বুথে গিয়ে ভোট দিতে পারে তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন। সোমবারই কমিশন স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠক সেরেছে। সেই মতো নির্বাচনের ১৭ দিন আগে করোনা রোগীদের তালিকা তৈরি করা হবে। যাঁরা করোনা আক্রান্ত রয়েছেন, তাঁদের পৃথক সময় করে ভোটের দিন নিয়ে যাওয়া হবে বুথে। তার জন্য নির্বাচনের দিন ১৯ ডিসেম্বর প্রত্যেক বরোতে তিনটি করে অ্যাম্বুল্যা ন্স থাকবে।
এছাড়া শরীরের তাপমাপার যন্ত্র, মাস্ক, স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা থাকছে। যে সমস্ত পুরপ্রতিনিধিরা ভোটের দায়িত্বে থাকবেন তাঁদের জন্য সেক্টর অফিসে ভোটের ৩-৪ দিন আগে টিকাকরণের বন্দোবস্ত করা হবে। এই প্রথমবার কমিশন নিজ উদ্যোগে এই টিকাপ্রদানের ব্যবস্থা করবে। যদিও স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে সমস্ত বিষয়টি আলোচনা করেই এগোবে কমিশন। সুনিশ্চিতভাবে পুরভোট করানোটাই এবার কমিশনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তাই প্রতি পদক্ষেপ সেইভাবে মেপেই ফেলছে কমিশন।
এদিকে একদিকে পুরভোটের উত্তাপ, সঙ্গী ওমিক্রন উদ্বেগ তার মধ্যেই রাজ্যে বাড়ল কোভিড বিধিনিষেধের মেয়াদ। আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেই বিধিনিষেধ বজায় থাকছে। আগের মতোই যাবতীয় নিয়ম বহাল থাকছে। রাত ১১টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ বজায় থাকছে। তবে সেই সময় ছাড় পাবেন জরুরি পরিষেবার কাজে যুক্ত লোকজন।
মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রান্ত মহামারি এবং ওমিক্রন বা করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতি বি.১.১.৫২৯ সংক্রান্ত উদ্বেগের কারণে বিধিনিষেধ আরও ১৫ দিন বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জারি থাকছে রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ। বাকি সব নিয়মের কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলবে লোকাল ট্রেন। চলবে মেট্রোও। দোকানপত্রও আগের মতোই খোলা থাকবে। স্কুল আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য স্কুল খোলা থাকবে।