পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: আপাতত জেল থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না মাওবাদী যোগে অভিযুক্ত দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক জি এন সাইবাবা । শনিবার সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দেয় হাইকোর্টের রায়। হুইলচেয়ারবন্দি এই প্রবীণ অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মাওবাদী যোগের কোনও প্রমাণ মেলেনি বলে শুক্রবার রায় দেয় বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ। দীর্ঘ ২ ঘন্টার শুনানি শেষে শনিবার বম্বে হাইকোর্টের রায়কে খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চের দুই বিচারপতি এমআর শাহ এবং বেলা এম ত্রিবেদী হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেওয়ার পাশাপাশি অধ্যাপক সাইবাবার একটি আর্জিও খারিজ করে দেয়।
তিনি অনুরোধ করেছিলেন, শারীরিক অসুস্থতার কথা বিবেচনা করে তাঁরে জেল থেকে মুক্তি দিয়ে গৃহবন্দি রাখা হোক। তিনি হুইল চেয়ারে চলাফেরা করেন। কিন্তু দুই বিচারপতির বেঞ্চ সেই আর্জি অনুমোদন করেনি। সুপ্রিম কোর্ট শনিবার হাইকোর্টের রায় সম্পর্কে মহারাষ্ট্র সরকারের মতামত জানতে চেয়েছে।
এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ৮ ই ডিসেম্বর। ততদিন পর্যন্ত সাইবাবা ও তার সঙ্গীদের জেল হেফাজতে থাকারই নির্দেশ দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত। প্রায় আট বছর জেলে থাকার পর শুক্রবার জি এন সাইবাবাকে নির্দোষ ঘোষণা করে বোম্বে হাইকোর্ট । এই রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে যায় মহারাষ্ট্র সরকার। ছুটির দিনেই মামলাটি শোনেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এম আর শাহ এবং বিচারপতি বেলা ত্রিবেদী বেঞ্চ। সেখানেই খারিজ হয়ে যায় বোম্বে হাইকোর্টের রায়।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক জিএন সাইবাবা-সহ আরও পাঁচজনের বিরুদ্ধে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ চার্জশিট দিয়েছিল। ২০১৪ সালে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। ২০১৭ সালে নিম্ন আদালত তাঁদের যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা দেয়। শুক্রবার নাগপুর বেঞ্চ তাঁদের নির্দোষ ঘোষণা করে অবিলম্বে জেল থেকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। অধ্যাপক সাইবাবা ছাড়াও, আদালত দুই কৃষক মহেশ করিমন তিরকি, পাণ্ডু পোরা নরোতে, দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হেম কেশবদত্ত মিশ্র এবং সাংবাদিক প্রশান্ত সাংলিকার মুক্তির রায়েও স্থগিতাদেশ দিয়েছে।
২০১৪ সালে দিল্লির অধ্যাপক সাইবাবাকে গ্রেফতার করেছিল মহারাষ্ট্র পুলিশ। এর পর নিম্ন আদালত সাইবাবা সহ তার সঙ্গীদের যাবব্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয়। নিম্ন আদালতের ওই রায়কেই ২০১৭ সালে হাই কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন প্রতিবন্ধী সাইবাবা। শারীরিক অক্ষমতার কারণে জামিন পেয়ে গেলেও ২০১৭-য় নিম্ন আদালত ইউএপিএ আইনে সাজা ঘোষণার পরে জেলে যেতে হয়েছিল প্রতিবন্ধী ওই অধ্যাপককে। সেই থেকেই নাগপুর সেন্ট্রাল জেলে বন্দি তিনি।