পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ভাত জুটুক না জুটুক, চাকরি হোক বা না হোক, বিজ্ঞাপন চাই। গত দশ বছরে এটাই ছিল বিজপি সরকারের মূলমন্ত্র। সেটা কেন্দ্রে হোক বা ডবল ইঞ্জিন কোনও রাজ্যে। গুজরাত বিধানসভায় দেওয়া কয়েকটি তথ্য দেখে চমকে উঠছেন অনেকেই। পর্যটনের প্রচারে গত ২ বছরে কত টাকা খরচ করেছে গুজরাত সরকার? এই প্রশ্নের জবাব জানতে চেয়েছিলেন কংগ্রেস বিধায়ক তুষার চৌধুরি। জবাবে গুজরাতের বিজপি সরকার জানিয়েছে, পর্যটনের প্রচার খাতে ১৪২.৩৮ কোটি টাকা খরচ করেছে সরকার।
অন্যদিকে গুজরাতের কংগ্রেস বিধায়ক জিগনেশ মেভানি জানতে চেয়েছিলেন, নবরাত্রি মহোৎসব, রানোৎসব ও পতঙ্গউৎসবে কত টাকা খরচ করেছে সরকার। এর জবাবে জানানো হয়েছে, ২ বছরে নবরাত্রি পালনে ১৬.৩৫ কোটি টাকা, রানোৎসবে ২২.৩৯ কোটি টাকা ও পতঙ্গউৎসবে (ঘুড়ি উৎসব) ৭.২৮ কোটি টাকা খরচ করেছে গুজরাতের বিজপি সরকার। আর এই সব উৎসবে থাকা, খাওয়া ও যাতায়াত বাবদ আরও ২.৩৫ কোটি টাকা খরচ করেছে মোদি, অমিত শাহের রাজ্য।
রানোৎস প্রচারে ২২ কোটি টাকা খরচ করার পর সেখান থেকে সরকার আয় করেছে মাত্র ৪.৯৮ কোটি টাকা। এসব দেখে অনেকেই বলছেন, বিজ্ঞাপনে মুখ ঢেকে যাচ্ছে গুজরাতবাসীর। গুজরাতের ক্ষুধাসূচকে চোখ রাখা যায় না। রিপোর্ট বলছে, শিশুদের বড় একটা অংশ অপুষ্টিতে ভোগে সে রাজ্যে। ওদিকে ২.৩৮ লক্ষ বেকার চাকরির জন্য গুজরাতে নাম নথিভুক্ত করলেও গত ২ বছরে মাত্র ৩২ জনকে নিয়োগপত্র দিয়েছে গুজরাত সরকার। বলে রাখা ভালো, এই গুজরাত মডেলই গোটা দেশে চালু করতে চেয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহরা।