পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কেতুগ্রাম কাণ্ডে মহকুমা আদালতে গোপন জবানবন্দি দিলেন রেণু খাতুন। অনেক মানসিক, ও শারীরিক যন্ত্রণা সহ্য নার্সের চাকরিতে দিয়েছেন রেণু। স্বামী সহ ছয় অভিযুক্তের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চান রেণু খাতুন।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ মানসিক ও শারীরিক যন্ত্রনা কাটিয়ে অবশেষে কাজে যোগ দিলেন কেতুগ্রামের রেণু খাতুন। মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমান জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে কাজে যোগ দিলেন রেণু। নার্সিং স্টাফ গ্রেড ২ পদে কাজ করবেন তিনি। নতুন করে স্বাস্থ্য দফতর থেকে কোনও নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এই অফিসে আপাতত কাজ করবেন রেণু, এমনটাই জানান স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব কুমার রায়।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো এক সপ্তাহ আগেই দুর্গাপুরে রেণুর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয় স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে। স্বভাবতই কাজে যোগ দিতে পেরে খুশি রেণু।
সাহসী কন্যা ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই শুরু করলেন। স্বামী শুধুমাত্র সন্দেহের বশে স্ত্রী যাতে সরকারি চাকরি করতে না পারে তার জন্য ধারালো অস্ত্র দিয়ে ডান হাত কবজি থেকে কাটতে দ্বিধা করেনি। কিন্তু স্বামী অত্যাচারে জর্জরিত রেণু থেমে থাকলেন না। হাসপাতালের বিছানা থেকে শুরু করেন ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। বাঁ হাতে লিখতে শুরু করেন তিনি। রেণুর বক্তব্য, বাঁ হাতে লিখতে তিনি সড়গড় হয়ে উঠেছেন। ইংরেজি, বাংলা বাঁ হাতে লিখতে পারছেন। দৈনন্দিন কাজগুলিও করে নিতে পারছেন। সকল মেয়েদের উদ্দেশেই রেণুর বার্তা ছিল, নির্যাতনের ঘটনায় মেয়েরা যেন সব কিছু সহ্য করে চুপ করে বসে না থাকে। লড়াই যেন থেমে না থাকে।