পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ দক্ষিণ কোরিয়ায়কি এবার নিষিদ্ধ হতে চলেছে কুকুরের মাংস।দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে নিজেই এই বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংগঠন এই দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের এই সদিচ্ছাকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্বজোড়া পশুপ্রেমী সংগঠনগুলি।
দক্ষিণ কোরিয়ার সংসদে এই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা হয়েছে।নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে মুন জায়ে বলেন কুকুরের মাংস খাওয়াকে এখন আন্তর্জাতিক মহলও ভালো চোখে দেখছেনা। সুতরাং এই অভাসে বদল আনা উচিৎ।
১৯৮৮ সালের সোল অলিম্পিকের সময় সোলের সব রেস্তোরাঁয় কুকুরের মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছিল সরকার। দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্কৃতির বিষয়ে বিদেশি ক্রীড়াবিদ ও অন্য অতিথিদের মনে একটা ভুল ধারণা জন্ম নিতে পারে- এমন আশঙ্কা থেকেই আসর চলার সময়টায় কুকুরের মাংস খেয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলার সুযোগ সোলের কেউ পাননি।
তখন থেকেই দক্ষিণ কোরিয়ায় কুকুরের মাংসের জনপ্রিয়তা কমছে। কুকুরের মাংস বিক্রি হয় এমন রেস্তোরাঁর সংখ্যাও কমছে দ্রুত । ২০১৯ সালে রাজধানী সোল এমন রেস্তোরাঁ ছিল একশটিরও কম। এক প্রতিবেদনে জানা যায়, দক্ষিণ কোরিয়ার কোনো কোনো শহরে বছরে শতকরা ৩০ ভাগ হারে কুকুরের মাংস খাওয়া কমছে।উল্লেখ্য আমাদের দেশেও নাগালান্ডেও খাওয়া হয় কুকুরের মাংস।
তবে দক্ষিণ কোরিয়ায় যেমন কুকুরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করা নিয়ে গড়ে উঠছে জনমত। তেমন এর বিরুদ্ধ মতামতও বড় কম নেই।
২০২০ সালের একটি সমীক্ষা বলছে দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন খুব কম মানুষই কুকুরের মাংস খাচ্ছেন। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৬০% মানুষ জানিয়েছেন তারা কুকুরের মাংস নিষিদ্ধ করার পক্ষে।
কিন্তু বিরুদ্ধ মতামত বলছে এখনো অনেক বয়স্ক মানুষ ঐতিহ্য হিসেবে কুকুরের মাংস নিয়মিত খাওয়ার পক্ষে। শিক্ষিত তরুণদেরও ছোট একটা কুকুরের মাংস খাওয়ার ঐতিহ্য ধরে রাখতে চান।
যেভাবে কুকুরের মাংস খাওয়ার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে উঠছে তাতে হয়ত দক্ষিণ কোরিয়ায় কুকুরের মাংস আইন করে নিষিদ্ধ হওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা ।