পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের কনিষ্ঠ পুত্র প্রিন্স হ্যারি মনে করেন, বাধ্য হয়েই ব্রিটেন থেকে চলে যেতে হয়েছিল তাঁকে। আর এখন ব্রিটেনে সপরিবারে তাঁর ফিরে আসাটা নিরাপদ নয়। পরিবারেকে নিয়ে ব্রিটেনের বাসভবনে ফিরে এলে নিরাপত্তার অভাবে ভুগবেন তিনি ও তাঁর পরিবার। মঙ্গলবার লন্ডন হাই কোর্টের এক মামলার শুনানিতে একথা জানান ব্রিটিশ প্রিন্স হ্যারি। ২০২০ সালের শুরুতেই স্ত্রী মেগান মার্কেলকে নিয়ে ব্রিটিশ রাজপরিবারের বিলাসী জীবন ত্যাগ করে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় গিয়ে বসবাস শুরু করেন প্রিন্স হ্যারি। তাঁর ‘ট্যাক্সপেয়ার ফান্ডেড প্রোটেকশন’ চলে যাওয়ায় ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে সম্প্রতি একটি মামলা করেছেন প্রিন্স হ্যারি।
মঙ্গলবার আদালতে তারই শুনানি ছিল। তবে নিরাপত্তার খাতিতে মিডিয়া ও জনতার জন্য আদালতের দরজা বন্ধ রাখা হয়েছিল। প্রিন্স হ্যারির আইনজীবী শাহিদ ফাতিমা প্রিন্স হ্যারির এক বক্তব্য পড়ে বলেন, ‘এটি অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে আমার স্ত্রী এবং আমি রাজপরিবারের ভূমিকা থেকে সরে আসতে ও ২০২০ সালে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলাম। ব্রিটেনই আমার ঘর। তবে এখন ব্রিটেনে আমার পরিবারকে নিরাপদ রাখা সম্ভব নয়। আমি আমার স্ত্রীকে বিপদে ফেলতে পারি না।’ প্রিন্স হ্যারির আইনজীবীরা বিভিন্ন সময়ই প্রিন্স হ্যারির রাজকীয় নিরাপত্তা মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিরোধিতা করেছেন। আইনজীবীরা বলছেন, ব্রিটেন ত্যাগ করার কারণে প্রিন্স হ্যারির নিরাপত্তা তুলে নেওয়া ‘বেআইনি ও অন্যায্য।’