পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : হরিদ্বার ঘৃণা সমাবেশে মুসলমানদের গনহত্যা করার ডাক দিয়েছিলেন স্বামী প্রবোধানন্দ গিরি। এবার গাজিয়াবাদের একটি অনুষ্ঠানে ফের মুসলমানদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য করতে শোনা গেল তাঁকে।
হরিদ্বার ধর্ম সংসদে মুসলিমদের বিরুদ্ধে গণহত্যার ডাক দিয়ে হিন্দু রক্ষা সেনার প্রধান বলেছেন, “জিহাদি তারাই যারা কুরআন বুঝেছে।” যে কায়দায় মিয়ানমারে গণহত্যা হয়েছিল সেই কায়দাতেই মুসলমানদের জাতিগত নির্মূলের আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রবোধানন্দ গিরি।
গাজিয়াবাদে ২ জানুয়ারি এক অনুষ্ঠানে স্বামী বলেন, “কয়েকজন আছে যারা কুরআন পড়ে, যারা এটি বোঝে, তারা জিহাদি হয়ে যায়।” “আমরা ভারতের প্রতিটি জিহাদির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াব।তাদের উপস্থিতি থেকে দেশকে পরিষ্কার করব। প্রধানমন্ত্রী স্বচ্ছ ভারত বলেছেন, আমরা এটিকে একটি পরিচ্ছন্ন এবং পবিত্র (পবিত্র) ভারতে পরিণত করব। ”হিন্দুদের উদ্দেশে তিনি বলেন মুসলমানদের বিরুদ্ধে কি অস্ত্র হাতে তুলে নেবে তা বাছাই করে নিতে হবে।
এই পুরোহিত হিন্দুদের উসকে দিতে বলেন, “আপনি যদি মহাভারতে রামের মতো ধর্মের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য অস্ত্র রাখেন তবে আপনি ভগবান রাম এবং কৃষ্ণের আশীর্বাদ পাবেন। অস্ত্র অপরিহার্য, জিহাদিদের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য এবং অন্য কোন উপায় নেই। স্বামী প্রবোধানন্দ গিরি বলেন, “আমরা ভুলে গিয়েছিলাম যে অস্ত্র রাখা একটি পুরানো ঐতিহ্য, আত্মরক্ষার জন্য আপনার কাছে অস্ত্র রাখা কোনো অপরাধ নয়, কারণ একজন হিন্দু কখনই প্রথমে আঘাত করে না।”
আপনার যদি অধার্মিকদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নেন যেমন ভগবান শ্রী রামচন্দ্র তুলে নিয়েছিলেন, তাহলে রাম এবং কৃষ্ণ আপনাকে আশীর্বাদ করবেন। জিহাদিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়া খুব জরুরি।এছাড়া আর কোনও উপায় নেই। হুঙ্কার বিদ্বেষী হিন্দুত্ববাদীর।
মুসলিমদের ওপর হামলা চালানোর আজব যুক্তিও খাড়া করছেন এই ‘সন্ন্যাসী।’ তিনিঁ বলেন, বেড়ালের কাছে পায়রা চলে এলে বেড়াল কি পায়ারকে খাবে না ? সে কি ছেড়ে দেবে? এক্ষেত্রে প্রথমেই বেড়ালের চোখ কানা করে দিতে হবে। তাহলে সে আর হামলা করতে পারবে না। এই ঘটনার ভিডিও দেখিয়ে দা কুইন্ট গাজিয়াবাদ থানার প্রতিক্রিয়া চাই। থানার পক্ষে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।প্রবোধানন্দ ইঙ্গিতে বলেন তাদের এমন বিদ্বেষ ভাষণে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর যোগী আদিত্যনাথের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।