শুভজিৎ দেবনাথ, ধূপগুড়ি: কালবৈশাখী ঝড়ের দাপটে নাজেহাল কৃষকরা। দুদিনের শিলাবৃষ্টি এবং ঝড়ে জল জমে গিয়েছে আলু খেতে আর তাই মাথায় হাত আলু চাষিদের। দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছেন চাষিরা।
কারণ এইভাবে জলের তলায় আলু বেশিদিন থাকলে ক্ষতি হতে পারে আলুর পচন ধরতে পারে। যদি কৃষি দফতর বলছেন, আলুর বয়স ৮০ থেকে ৯০ দিন পেরিয়ে গেছে এক দুদিন জলের তলায় থাকলে তেমন কোন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। যদিও তার কথায় কৃষকদের দুশ্চিন্তা কাটছে না। কারণ একদিকে আলুর বান নিয়ে কালোবাজারি অভিযোগ অন্যদিকে জলের তলায় আলু ক্ষেত।
আলু তুললেও হিমঘরে রাখবেন কি করে তার একটি দুশ্চিন্তা কারণ একজন কৃষক কিছু ৫০ বস্তার বেশি আলুর বন্ড দেওয়া হয়নি তাই বাড়তি আলু নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে একদিকে কৃষকরা প্রথম থেকেই ছিলেন গদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে উঠেছে কালবৈশাখী ঝড় বৃষ্টি।
ধূপগুড়ি ব্লকের ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ বিঘে আলু খেয়ে এখনও জলের তলায় আপ্রাণ চেষ্টা করছেন সেই আলুগুলিকে বাঁচাবার, কিন্তু জল বের করার কোনও উপায় নেই তাদের কাছে বলে দাবি কৃষক দের। তাই ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা।
কৃষি দফতরের দাবি এবছর আলুর ফলন ভালো হয়েছে প্রতি বিঘেতে ৮০ থেকে ৮৫ প্যাকেট আলু হয়েছে ধূপগুড়ি বানারহাট ব্লকে।
কৃষি দফতরের দাবি যেহেতু এ বছর রোগ পোকার আক্রমণ কম হয়েছে এবং রাসায়নিক সারের প্রয়োগ কম হয়েছে তাই কৃষকরা লাভের মুখ দেখতে পারবেন। আর আলুর বন ওপেন টু অল করে দেয়া হয়েছে। ক্ষুদ্র এবং প্রান্তিক চাষিরা সকলেই বন্ড পেয়েছেন।
এবছর ধূপগুড়ি এবং বানাহাট ব্লক এ ১ কোটি প্যাকেট আলু উৎপাদন হয়েছে। তবে আমাদের দুই ব্লকে আলু হিমঘরে রাখার ২৪ লক্ষ প্যাকেট।তাই সবাইকে সন্তুষ্ট করা সম্ভব যাবে না কিছু জায়গায় খামতি থেকে যাবে মানছেন ধূপগুড়ির জেলা সহ কৃষি অধিকর্তা তিলক বর্মন।