কৌশিক সালুই, সিউড়ি: নির্বিঘ্নে শেষ হল বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ পর্ব। বিজেপির পক্ষ থেকে বেশ কিছু বুথে অশান্তির অভিযোগ তুলে নির্বাচনের দাবি জানানো হয় বিরোধীদের পক্ষ থেকে। জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ ভোট হওয়ার জন্য সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আস্থা রাখার জন্য ভোটারদের কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে।
ছোটখাটো অভিযোগ ছাড়া নির্বিঘ্নেই শেষ হল বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে ভোট প্রদানের হার ছিল ৭৫.৪৫ শতাংশ। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়া পর্যন্ত প্রায় ৮৫ শতাংশের বেশি ভোট প্রদানের সম্ভাবনা আছে বলে অভিমত বিশেষজ্ঞ মহলের। তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর অনুব্রত মণ্ডল ছাড়া এই প্রথমবার নির্বাচন। অনুব্রত থাকাকালীন অন্যন্যবার বিরোধীরা ব্যাপক সন্ত্রাসের অভিযোগ তুললেও এবার সেই অভিযোগ কার্যত নেই। যদিও জেলার বিভিন্ন অংশ থেকে বিজেপির পক্ষ থেকে ছোটখাটো অভিযোগ করা হয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কিন্তু শাসক দল তা অস্বীকার করেছে।
তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা বিদায়ী সংসদ শতাব্দী রায় সকাল থেকেই তাঁর সংসদীয় এলাকার বিভিন্ন বুথে ভোট গ্রহণের প্রক্রিয়া দেখলেন। অন্যদিকে, জাতীয় কংগ্রেস প্রার্থী মিল্টন রশিদ এদিন রামপুরহাট মহকুমা এলাকাতেই থাকলেন। এদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে বেশ কিছু বুথে পুনর্নির্বাচনের আবেদন জানানো হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য সব জায়গাতে তৃণমূল সন্ত্রাস করতে না পারলেও বেশ কিছু জায়গায় পুনর্নির্বাচনের জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে নিয়ম মতো দাবি জানাচ্ছি।’ জাতীয় কংগ্রেস প্রার্থী মিল্টন রশিদ বলেন, ‘অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। যেভাবে ভোটাররা অংশগ্রহণ করেছে তাতে সকলকে ধন্যবাদ।’
তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির সদস্য তথা বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী বলেন, ‘শতাব্দী রায় দেড় থেকে দু’লক্ষর বেশি ভোটে এবারের নির্বাচনে জয়লাভ করবে। সংগঠনহীন বিরোধীদের তোলা সমস্ত ধরনের অভিযোগ মিথ্যা। জেলার সাধারণ ভোটাররা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি যেভাবে আস্থা রেখেছেন তারজন্য তাদেরকে ধন্যবাদ। জেলার মানুষ উৎসবের মেজাজে ভোট দিয়েছেন।’