পুবের কলম প্রতিবেদক: সোমবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাধারে সিবিআইয়ের মামলায় আলিপুর আদালতে এবং ইডির মামলায় ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়েছিল রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্যদেরকে।
এদিন আলিপুর আদালত ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
এদিন শুনানির শুরুতেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী জামিনের আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘পাঁচ জনের উপদেষ্টা কমিটিতে ছিলেন না পার্থ। এছাড়াও তিনি সহযোগিতা করেছেন তদন্তে। সিবিআইয়ের একটি চার্জশিটে তার নামও নেই। উপদেষ্টা কমিটির কর্মকাণ্ডের মধ্যে পার্থ কোনো ষড়যন্ত্রে শামিল এরকম তথ্য আসেনি এখনো’।
এদিন পার্থর আইনজীবী তার মক্কেলের পক্ষে জামিনের পক্ষে জোর সওয়াল করেন। যেভাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে বিভিন্ন কথা শোনা যাচ্ছে তা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল বলে এজলাসে জানান তিনি। যে কোনও শর্তে তাকে জামিন দেওয়ার আবেদন রাখেন পার্থের আইনজীবী। তবে আদালত জামিনের আবেদন খারিজ করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠায় আলিপুর আদালত। এদিন তদন্তকারী অফিসার তদন্তের প্রমাণ হিসাবে নথি জমা দিয়েছেন।
বিচারক সিবিআই আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন বাকিদের কি অবস্থা? অফিসার বলেন, বাকিদের আর কাউকে আপাতত গ্রেফতারের প্রয়োজন নেই, তবে কমপক্ষে ৬ মাস সময় লাগবে তদন্ত চালানোর জন্য’। সব দিকে বিবেচনা করে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত দিলেন বিচারক।
এদিন আদালতে নিজের জামিনের দরবার করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিচারককে তিনি বললেন, আমাকে বাঁচতে দিন। নিজেকে একটু গুছিয়ে নেওয়ার সুযোগ দিন।’
প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত আর্থিক দুর্নীতি মামলাটির শুনানি ছিল ব্যাঙ্কশাল আদালতের ইডি এজলাসে। সেখানেই নিজের জামিন চেয়ে বিচারকের কাছে আবেদন করেন পার্থ।আদালতে পার্থের হয়ে তাঁর আইনজীবী বলেছিলেন, উনি ৯৯ ধরে হেফাজতে রয়েছেন। উনি অসুস্থ, তার মেডিক্যাল রিপোর্টও রয়েছে। তাছাড়া ওঁর বিরুদ্ধে যা অভিযোগ তা তো চার্জশিটেই বলা রয়েছে। তা হলে ওঁকে আরও তদন্তের জন্য কেন বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখতে হবে?
আইনজীবীর এই বক্তব্যের পর পার্থ আদালতকে জানান, তাঁর আইনজীবী যা বলেছেন, তা বেশি তাঁর কিছু বলার নেই’। তবে তিনি আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান তাঁর স্বাস্থ্যের দিকে। পার্থ আদালতকে বলেন, ৯৯ দিন ধরে এখানে রয়েছি। অথচ এখনও এরা কিছু পাচ্ছে না। আমার শরীর সঙ্গ দিচ্ছে না। আমাকে বাঁচতে দিন।’