জয়পুর: ২০১৭ সালে উন্মত্ত জনতার হাতে মৃত্যু হয়েছিল পশু ব্যবসায়ী পেহলু খানের । রাজস্থানের একটি আদালতে ছাড়া পেয়েছিল মামলায় অভিযুক্ত ৬ জন। ৪বছর পর খালাস পাওয়া ছয়জনের বিরুদ্ধে রাজস্থান হাইকোর্ট সোমবার জামিনযোগ্য পরোয়ানা জারি করেছে।একটি ভিডিওয় তাদের দেখা গিয়েছিল ওই গণপিটুনিতে অংশ নিতে। নিহতের ছেলের একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত ওই নির্দেশ জারি করেছে।রাজস্থান সরকার কর্তৃক গঠিত এক বিশেষ তদন্ত দল হত্যাকাণ্ডের তদন্তের জন্য পুলিশের তদন্তে একাধিক ত্রুটি খুঁজে পেয়েছিল। বিশেষ তদন্ত দলের রিপোর্টে বলা হয়েছিল যে ছয়জন অভিযুক্ত- বিপিন যাদব, রবীন্দ্র যাদব, কালু রাম যাদব, দয়ানন্দ যাদব, যোগেশ খাটি এবং ভীম রাথির বিরুদ্ধে ডাকাতি, দাঙ্গা এবং হত্যার পাশাপাশি মারাত্মক অস্ত্র দিয়ে সশস্ত্র দাঙ্গার অভিযোগ আনা উচিত ছিল।কিন্তু তা আনা হয়নি।
ওই মামলায় আলওয়ারের ট্রায়াল কোর্টের বিচারক জানিয়েছিলেন, মোবাইল ফোনের ওই ভিডিও যা দেখে পুলিশ অভিযুক্তদের সনাক্ত এবং গ্রেফতার করেছে তাকে প্রমাণ হিসেবে ধরা যাবে না। এনডিটিভির-র যে স্টিং ভিডিওয় অন্যতম এক অভিযুক্তকে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল সেটিকেও প্রত্যাখ্যান করা হয়। আলওয়ারের ট্রায়াল কোর্টে অভিযুক্তদের আইনজীবী হুকুমচাঁদ শর্মা দাবি করেছিলেন , মোবাইলে তোলা ভিডিওটি ততটা পরিষ্কার নয় যার দ্বারা অভিযুক্তকে নিশ্চিতভাবে সনাক্ত করা যায়।
উল্লেখ্য,২০১৭ সালের এপ্রিলে পেহলু খান ও তাঁর ছেলে হরিয়ানার গ্রামে ফিরছিলেন। তাঁদের সঙ্গে ছিল জয়পুরের মেলা থেকে কেনা গবাদি পশুর মাংস। জয়পুর-দিল্লি হাইওয়েতে তাঁদের ট্রাকটি আটকায় গো-রক্ষকের এক দল। টেনে নামানো হয় ৫৫ বছরের পেহলুকে। শুরু হয় মারধর। পরে হাসপাতালে মারা যান পেহলু। এক প্রত্যক্ষদর্শীর তোলা ভিডিওয় দেখা গিয়েছিল কীভাব নৃশংস অত্যাচার করা হয়েছিল পেহলুর উপরে।ওই হত্যা মামলায় ন’জনকে অভিযুক্ত করা হয়। এদের মধ্যে তিনজন নাবালক। বাকি ছ’জনকেও ‘প্রমাণের অভাবে’ খালাস করে দেওয়া হয় আলওয়ারের ট্রায়াল কোর্টে।