পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: উত্তরাখণ্ডের রাজ্যপালের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বেবি রানি মৌর্য। বুধবার দুপুরে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। যদিও উত্তরাখণ্ডের রাজ্যপালের ইস্তফা গ্রহণ নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেননি বলে জানা যায়। আচমকাই কেন উত্তরাখণ্ডের রাজ্যপাল ইস্তফা দিলেন তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। দুদিন আগে নয়াদিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের পর তাঁর পদত্যাগের বিষয়ে আলোচনা তীব্র হতে শুরু করে। উত্তরপ্রদেশ বিজেপিতে তাঁকে বড় দায়িত্ব দেওয়ার আলোচনা চলছে বলেও খবর। একই সঙ্গে, এখন রাজ্যের নতুন রাজ্যপালের দায়িত্ব কে পাবে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
রাজ্যপালের ইস্তফার খবরের সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন তাঁর সচিব ব্রিজেশ কুমার সন্ত।তিনি বলেছেন, ‘রাজ্যপাল তাঁর ইস্তফাপত্র রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন’। রাজ্যপালের পদ থেকে বেবি রানির ইস্তফার খবরে বেশ অস্বস্তিতে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেন্দ্রের নির্দেশেই রাজ্যপাল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বেবি রানি। উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে তাঁকে বিশেষ দায়িত্ব দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও সরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। উত্তরাখণ্ডের রাজ্যপালের দায়িত্বভার গ্রহণের আগে বেবি রানি সরকারের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৯৫ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত আগ্রার মেয়র ছিলেন তিনি। একসময় জাতীয় মহিলা কমিশনের বোর্ড সদস্য হয়েছিলেন। বেশ কয়েকটি সম্মান পেয়েছেন। সম্প্রতি, রাজ্যপাল পদে তিন বছর পূর্ণ করার পর সাংবাদিক সম্মেলনে করে তিনি রাজ্যে মহিলাদের আর্থিকভাবে ক্ষমতায়নের বিষয়গুলির উপর জোর দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, রাজ্যের মহিলারা কঠোর পরিশ্রমী। ভবিষ্যতে মহিলাদের যাতে আরও সহযোগিতা করা যায় তার প্রচেষ্টার কথাও বলেন তিনি।