পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : বুধবার আফগানিস্তান নিয়ে বৈঠকে বসলেন ভারত, ইরান এবং রাশিয়া সহ আটটি দেশের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।র পরদিনই একই ইস্যুতে বৈঠকের আয়োজন করেছে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার আফগানিস্তান বিষয়ক পাকিস্তানের বিশেষ দূত মহম্মদ সাদেক খানের আমন্ত্রণে বৈঠকে থাকার কথা চিন, রাশিয়া ও আমেরিকার প্রতিনিধিদের।
আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকিকেও।দিল্লিতে আফগান ইস্যুতে আয়োজিত বৈঠকে চীন ও পাকিস্তানের মতো প্রতিবেশী দেশও অংশ নেয়নি। এমনকি যাদের জন্য এ সম্মেলন সেই আফগানিস্তানের কোনো প্রতিনিধিকে বৈঠকে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
আফগানিস্তান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়ার সিনিয়র কূটনীতিকদের নিয়ে ইসলামাবাদে পাকিস্তানের উদ্যোগে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এই আলোচনাকে পাকিস্তান ‘ট্রাইকা প্লাস’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
ইসলামাবাদ পৌঁছানোর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কাবুল বিষয়ক বিশেষ দূত টমাস ওয়েস্ট টুইট করে বলেন, আমি ইউরোপ এবং এশিয়া সফর শুরু করলাম। আফগানিস্তান নিয়ে আমাদের অংশীদার দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করব। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত একসঙ্গে কাজ করা, যাতে ফল পাওয়া যায়।
কাবুল সংক্রান্ত বৈঠকে আমেরিকার বিশেষ দূত টমাস ওয়েস্ট, রাশিয়ার বিশেষ দূত জমির কাবুলভ ও চিনের বিশেষ দূত ইউ শিয়াঅং ওই বৈঠকে অংশ নেবে। বৈঠকে থাকবে তালিবানের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। তালিবান বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আবদুল কাহার বালকির টুইট থেকে জানা গিয়েছে, আমির খানের নেতৃত্বে তালিবানের প্রতিনিধি দল ১০ নভেম্বর পাকিস্তানে পৌঁছে গিয়েছেন। বৈঠকে অর্থনীতি, শরণার্থী সমস্যা সহ বেশ বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা হবে।
আফগানিস্তান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়ার সিনিয়র কূটনীতিকদের নিয়ে ইসলামাবাদে পাকিস্তানের উদ্যোগে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এই আলোচনাকে পাকিস্তান ‘ট্রইকা প্লাস’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
বৈঠকের শুরুতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি সতর্ক করে জানান, আফগানিস্তান অর্থনৈতিক ধসের মুখে রয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত পশ্চিমা দাতাদের অর্থ ছাড় এবং মানবিক সহযোগিতা দেওয়া।
তালিবান ক্ষমতা দখলের পর থেকেই নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা বেড়েছে ভারতের। মনে করছেন কূটনৈতিকমহল। চাপ বেড়েছে আফগানিস্তানের সীমান্তে থাকা দেশগুলিরও। যৌথভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা এবং ভবিষ্যতের কার্যক্রম ঠিক করতে অজিত দোভালের নেতৃত্ব বৈঠক ডেকেছিল ভারত। চিন ও পাকিস্তানকেও আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। কিন্তু তারা যোগ দেয়নি। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের ডাকা বৈঠকে চিনের অংশগ্রহণ থেকে পরিষ্কার, আফগানিস্তান ইস্যুতে ফের কূটনৈতিক পরিবেশ সরগরম ।