পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ একের পর এক ডবল ইঞ্জিন রাজ্যে মহিলাদের উপর নারকীয় নির্যাতন চলছে। উত্তরপ্রদেশে দলিত মহিলাকে ধর্ষণ করে টুকরো করে কাটার ঘটনার পর এখন আরও এক ডবল ইঞ্জিন সরকারে ৫০ নাবালিকার শ্লীলতাহানি ভাবিয়েছে সেই রাজ্যের মহিলা কমিশনকে।
হরিয়ানার জিন্দে একটি সরকারি স্কুলের প্রধানশিক্ষক দিনের পর দিন নাবালিকা ছাত্রীদের নিজের অফিসে ডেকে তাদের শ্লীলতাহনীর চেষ্টা করত। এসব কুকীর্তি ঢাকতে ৫৫ বছরের প্রধানশিক্ষক নিজের অফিসের দরজায় রঙিন কাচ ব্যবহার করত, যাতে ভেতরে সে কি করছে, তা কেউ টের না পায়।
শুধু অফিসে ডেকে শ্লীলতাহানি নয়, নাবালিকা ছাত্রীদের ফোন নম্বর নিয়ে তাদেরকে বিরক্তও করত সে। এসবের জন্যে বেশ কয়েকটি ফোনও ব্যবহার করত। যার খবর শিক্ষকের পরিবারের কাছে ছিল না।
দীর্ঘদিন এই নির্যাতন সহ্য করার প্র স্কুলের প্রায় ৬০ ছাত্রী সাহস করে হরিয়ানার মহিলা কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
মহিলা কমিশনের পক্ষ থেকে গত ১৪ সেপ্টেম্বর পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বিজেপি-শাসিত হরিয়ানার পুলিশ।
ওই ছাত্রীরা মহিলা কমিশনের সঙ্গে ফের যোগাযোগ করলে এবার জিন্দের পুলিশ সুপারকে পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানায় কমিশন। তখনই মামলা রুজু করে তদন্তের নির্দেশ দেন সুপার। কিন্তু ততদিনে কেটেছে প্রায় ১ মাস ১৫ দিন।
এত ঘৃণ্য অভিযোগ করার পরও ১ মাস ১৫ দিন পর্যন্ত কিভাবে চুপ ছিল মনোহর লাল খট্টরের পুলিশ। সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
প্রথমে অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক ছিল। পরে পুলিশের একটি টিম গঠন করে তাকে আটক করা হয়। অভিযোগ ওই স্কুলের এক শিক্ষিকা গোটা ঘটনা জানতেন। তিনিও প্রধানশিক্ষককে এই অপকর্মে সাহায্য করতেন।