পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ আফগানিস্তানে তালিবান ক্ষমতায় আসার পর মেয়েদের স্কুলে যাওয়া আপাতত বন্ধ। কো-এডুকেশন তথা শ্রেণিকক্ষে ছেলেমেয়ে একসঙ্গে বসে পড়াশোনা নিষিদ্ধ হয়েছে। এ বিষয়ে এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, মেয়েদের স্কুলে যেতে না দেওয়ার বিষয়টি ইসলামের রীতিনীতির বাইরে। তাঁর কথায়, তালিবান যদি কিছু শর্ত পূরণ করে তাহলে পাকিস্তান তাদের স্বীকৃতি দিতে পারে। তালিবান নেতৃত্ব যাতে অন্তর্ভুক্তিমূলক হয় এবং তারা যাতে মানবাধিকার লঙ্ঘন না করে সেই আহ্বানও জানান পাক প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, আফগানিস্তান যাতে সন্ত্রাসীদের আশ্রয়স্থল না হয়ে ওঠে সে বিষয়েও তালিবানকে লক্ষ রাখতে হবে। গত সপ্তাহে আফগানিস্তানে স্কুল খুলেছে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র ও পুরুষ শিক্ষকদের আসার অনুমতি দিলেও ছাত্রী এবং শিক্ষিকাদের আসার অনুমতি দেয়নি তালিবান সরকার। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বাস, দ্রুতই নারী শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দেবে তালিবান। ইমরান খান বলেছেন– ‘ক্ষমতায় আসার পর তালিবান যে সমস্ত বিবৃতি দিয়েছে তা খুবই উৎসাহের। আশা করি– তারা মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দেবে। নারীদের শিক্ষা অর্জন করতে দেওয়া যাবে না এই ধারণা ইসলামি রীতিনীতির বাইরে।’ তালিবান আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য কিনা এ বিষয়ে ইমরান বলেন– ‘তালিবানকে সময় দিতে হবে। এ বিষয় নিয়ে এখনও কথা বলার সময় আসেনি। তালিবানকে স্বীকৃতি দিতে প্রতিবেশী অন্যান্য দেশ কী সিদ্ধান্ত নেয় সে-দিকেও খেয়াল রাখবে পাকিস্তান।’