পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: মণিপুর থেকে হরিয়ানা। একের পর এক ডাবল ইঞ্জিন চালিত রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে হিংসার আগুন। প্রাণ গিয়েছে সাধারণ মানুষের। শান্তিশৃঙ্খলা একেবারে তলানিতে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যাত্রা চলাকালীন হরিয়ানার নূহ’তে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ৬ মাস পরে তিনটি পৃথক মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারা লাগু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১ রোহিঙ্গা শরণার্থী সহ ৮০ জনকে আটক করে পুলিশ। নূহ দাঙ্গায় অভিযুক্ত ৩ জনের জামিন খারিজ করতে গিয়ে ইউএপিএ কথা প্রকাশ্যে এসেছে। পুলিশি চার্জশিট অনুযায়ী, গত ১৫ জানুয়ারি নূহ মামলায় ইউপিএ ধারা লাগু হয়েছে।
ঘটনাপ্রক্ষিতে নূহ-এর কংগ্রেস বিধায়ক আফতাব আলম জানান, পুলিশ আসল দোষীদের ঠিক ছেড়ে দিচ্ছে। যাঁদের জোর করে জেলে পুরে রাখা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে এখনও কোনও সঠিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাঁদের জামিন খারিজ করার লক্ষ্যেই পুলিশ এতদিন পর ইউএপিএ ধারা লাগু করেছে। এটা আগেই করতে পারত। কিন্তু নিজেদের অসাধু ইচ্ছা পূরণ করতে ওরা ৬ মাস পর এই ঘটনা ঘটাল। যদি পুলিশ ন্যায়বিচারের জন্য ইউএপিএ ধারা লাগু করে তাহলে একই বিধান গুরুগ্রাম ইমামের হত্যা মামলায় প্রযোজ্য হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু হয়নি। বিষয়টা স্পষ্ট। নূহতে সহিংসতা শুরু হওয়ার একদিন পরে, ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিতে দিতে গুরুগ্রামের সেক্টর ৫৭-এর আঞ্জুমান জামা মসজিদের নায়েব ইমাম সাদকে ছুরিকাঘাত করে একদল দুষ্কৃতী। সেই ঘটনার বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ গ্রহণ হয়েছে? একটা বিশেষ সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে আইন-আদালত ভিন্ন হয় কি করে?