পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ অবশেষে স্বাভাবিক হল কাবুল বিমানবন্দর। বৃহস্পতিবারই আফগানিস্তান থেকে উড়ল বিমান। কাবুলে রক্তক্ষয়ী ঘটনার পর এই প্রথম বৃহস্পতিবার ২০০ জনকে নিয়ে আফগানিস্তানে উড়ল বিমান।
১৫ আগস্ট কাবুল দখলের পর দেশ ছাড়তে ভিড় করেন দেশের মানুষ। গুলি চলে। বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটে। প্রথমে তালিবানের ওপর ওপর এই ঘটনার দায় চাপানো হলেও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বিবৃতি দেন তালিবান মুখপাত্র। ঘটনার তীব্র নিন্দায় মুখর হয় ভারত, যুক্তরাষ্ট্র সহ একাধিক দেশ। ভারতের বিদেশে মন্ত্রকের তরফ থেকে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার বার্তা দেওয়া হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, এই ঘটনা তারা কোনওদিন ভুলবে না। প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করা হবে।
এই নিন্দনীয় ঘটনার দায় স্বীকার করে আইএসআইএস জঙ্গি সংগঠন।
কাবুল তালিবান দখল নেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন দেশে দূতাবাস কর্মীদের ফিরিয়ে আনার তৎপরতা শুরু হয়। তবে আফগান নাগরিকদের দেশ ছাড়া চলবে না জানিয়ে দেয় তালিবান।
এদিকে চাপান-উতোরের মধ্যে ৩১ আগস্ট মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে।
এ দিকে, আফগানিস্তান ছাড়ার আগে নিজেদের যাবতীয়সামরিক বিমান অকেজো করে দেওয়ার পাশাপাশি বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ব্যবস্থাও নষ্ট করে দেয় মার্কিন বাহিনী। তালিবানের অভিযোগ, বিমানবন্দরের ভিতরেও ভাঙচুর চালিয়েছে মার্কিন সেনা। অবশেষে গত সপ্তাহে কাতার থেকে টেকনিক্যাল এক্সপার্টরা এসে বিমানবন্দর মেরামতি ও তালিবানিদের বিমান চালানোর প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করে। তালিবানের তরফে বাহিনীর তরফে জানানো হয়, শীঘ্রই ফের সচল হবে কাবুল বিমানবন্দর। অবশেষে বৃহস্পতিবার কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিমান কাবুল বিমানলন্দর থেকে দোহায় উড়ে যায়। আমেরিকান, জার্মান, হাঙ্গেরিয়ান ও কানাডিয়ান নাগরিকরাও ওই বিমানে আফগানিস্তান থেকে ফিরেছেন। কাতারের রাষ্ট্রদূত মুতলাক বিন মাজেদ আল-কাহতানি জানান, ২০০ যাত্রীদের নিয়ে শুক্রবারও একটি বিমান আসবে।