পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বিজেপি সাংসদ, ভারতীয় কুস্তিগির ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রমাণ মেলেনি বলে জানিয়ে দিল দিল্লি পুলিশ। বুধবার এমনটাই জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে। এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, দিল্লি পুলিশ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে এই রিপোর্ট জমা করবে। কুস্তিগিরদের দাবির ভিত্তিতে ভারতীয় কুস্তিগির ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে কোনও উপযুক্ত প্রমাণ মেলেনি, যার দ্বারা প্রমাণিত হয় যে তিনিই দোষী। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে এই রিপোর্ট জমা করা হবে। এই রিপোর্ট চার্জশিট বা চূড়ান্ত রিপোর্ট আকারেও জমা দেওয়া হতে পারে।
উল্লেখ্য, সময় যত এগোচ্ছে ততই যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে গ্রেফতারের দাবিতে ক্রমশই ঘোরালো হচ্ছে পরিস্থিতি। মঙ্গলবারই পদক গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত তুলে হরিদ্বারের ঘাটে জড়ো হন দেশের মেডেলজয়ী কুস্তিগিররা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁরা কৃষক নেতা নরেশ টিকায়েতের পরামর্শ মতো তাদের সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসেন। কিন্তু কেন্দ্র সরকারকে পাঁচদিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন তারা। এই সময়ের মধ্যে কেন্দ্র সরকার কোনও পদক্ষেপ না নিলে, সেই অনুযায়ী তারা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। কিন্তু এই ডামাডোল পরিস্থিতির মধ্যে দিল্লি পুলিশ বুধবার জানিয়ে দিল, ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করার মতো পর্যাপ্ত প্রমাণ তারা কিছু পাননি।
উল্লেখ্য, বিজেপি সাংসদ, ভারতীয় কুস্তিগির ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে খ্যাতনামা কুস্তিগিররা। রয়েছেন বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক, ভিনেশ ফোগাটরা সহ আরও অনেকেই। গত ২৩ এপ্রিল থেকে যন্তরমন্তরে ধরনায় বসে তারা। গত ২৮ মে নয়া সংসদ ভবন উদ্বোধনের দিন কুস্তিগিররা সিদ্ধান্ত নেন মহিলাদের পঞ্চায়েত করার। কিন্তু সেই পঞ্চায়েত শুরুর আগে আটক করা হয় কুস্তিগিরদের। সঙ্গে সঙ্গে যন্তরমন্তরে ধরনার স্থানও সরিয়ে দেওয়া হয়। একদিকে কুস্তিগিররা যখন আটক রয়েছেন সেই সময় দিল্লি পুলিশের ট্রাক এসে ধরনার মঞ্চের সমস্ত সামগ্রী নিয়ে চলে যায়।