কলকাতা, ২৮ জানুয়ারি: সরকার থেকে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করাই ‘ইন্ডিয়া’ জোটের প্রধান লক্ষ্য, কলকাতায় এসে বললেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। জোটে নিয়ে অখুশি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার রবিবারই জোট ত্যাগ করেছেন। ফিরে গেছেন পুরোনো জোট সঙ্গী এনডিএতে। অন্যদিকে, আসন ভাগাভাগি নিয়েও জোটের অন্দরে শুরু হয়েছে বির্তক। ‘ইন্ডিয়া’ জোট নিয়ে যখন টালমাটাল অবস্থা বিরোধী শিবিরের। এই পরিস্থিতিতে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন প্রবীণ কংগ্রেস সাংসদ। তাঁর বক্তব্য, “আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা চলছে। জোটের শীর্ষ নেতৃত্বরা আসন ভাগাভাগি নিয়ে রাজ্যে রাজ্যে আলোচনা করছে। তবে সবক্ষেত্রেই তো সমাধান থাকবে না। একেকটি রাজ্যে একেক রকম সমস্যা হবে। নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করেই আসন ভাগাভাগি করা হবে।” আমরা সকলেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে এক ছাতার তলায় এসেছি। আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতেই হবে বলে আশা প্রকাশ করেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর।
রবিবারই ইন্ডিয়া জোট ছেড়েছেন নীতীশ কুমার। বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন নীতীশ কুমার। রাজ্যপালের হাতে নিজের ইস্তফা পত্রও তুলে দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। ২০২২ সালে বিজেপির এনডিএ জোট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন নীতীশ কুমার। লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোটে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। বছর ঘুরতেই ফের এনডিএ জোটে যোদ দিলেন নীতীশ। এপ্রসঙ্গে কংগ্রেসের অভিযোগ, “বিজেপি ইন্ডিয়া জোটে ফাটল ধরানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।”
প্রসঙ্গত, এর আগেই কংগ্রেস আশা প্রকাশ করেছিল, বিহারের নীতীশ কুমার এবং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উভয়ই ইন্ডিয়া জোটেই থাকবেন। কিন্তু কংগ্রেসে শিবিরের সেই আশায় কার্যত জল ঢালল। এদিকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইন্ডিয়া জোটে থাকলেও, ক’দিন আগেই জোট নিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তিনি। স্পষ্ট করে মমতা জানিয়েছিলেন, বাংলায় একলা চলোনীতি নিয়ে লড়াই করবে তৃণমূল। বাংলার ৪২ টি লোকসভা আসনে তৃণমূল একাই লড়বে বলে জানিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।