পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ একজন মুসলিন নারী হিসেবে জিনা আলির গল্পটা একটু অন্যরকম। ছোট থেকেই একজন পুলিশকর্মী হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। ক্রাইস্টচার্চ সন্ত্রাসী হামলার পর নিউজিল্যান্ডের দুটি মসজিদে ৫১ জন নিহতের ঘটনা জিনার পুলিশে যোগদানের সেই ইচ্ছেকে আরও বাড়িয়ে দেয়। তারপরেই জিনা সিদ্ধান্ত নেন মুসলিম সম্প্রদায়কে সাহায্য করার জন্য তিনি পুলিশেই যোগদান করবেন। কনস্টেবল জিনা আলি হলেন নিউজিল্যান্ড পুলিশের প্রথম মহিলা সদস্য যিনি নিজের তৈরি বিশেষভাবে ডিজাইন করা হিজাব পরেন। হিজাব পরা নিয়ে অনেক সময় মুসলিম মহিলাদের হেনস্থার শিকার হতে হয়।
বলা যায় সেখানে জিনা পুলিশের পেশায় হিজাব পরিধান করে নিজের আলাদা পরিচয় গড়ে তুলেছেন। যাতে পুলিশে আরও মুসলিম নারী যোগদান করতে পারেন, তাদের আরও উৎসাহ দিতেই তার এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন জিনা। নিজের ফেসবুক পেজেও জিনা তাঁর হিজাব পরার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, একটা সময় তার মনে হয়েছিল হিজাব পরার জন্য তার স্বপ্ন পূরণ হবে না। কিন্তু ঠিক তখনই নিউজিল্যান্ড পুলিশের কাছ থেকে একটি ব্যক্তিগত মেসেজ পাঠিয়ে জানানো হয়, নিউজিল্যান্ড পুলিশে কাজ করার জন্য হিজাব পরা পেশার ক্ষেত্রে কোনও বাধা বা অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে না। সেই আশ্বস্তবার্তা নিজের মোবাইলে সেভ করে রাখেন জিনা। আর এই আশ্বাসবাণী আর নিজের ইচ্ছাশক্তির বলে অন্যান্য মুসলিম নারীদের কাছে আজ এক রোল মডেল জিনা আলি।
নিউজিল্যান্ডের প্রথম মুসলিন নারী জিনা আলি যিনি তার ইউনিফর্মের অংশ হিসেবে পুলিশকর্মী হিসেবে হিজাব পরেন। জিনা তাঁর ব্যক্তিগত অনুভূতি শেয়ার করে বলেছেন, দেশের বাইরেও যখন দেখি নিউজিল্যান্ডের পুলিশ ইউনিফর্ম হিসেবে আমার ডিজাইন করা হিজাব পরিধান করেন, সেটা দেখে আমি গর্ব অনুভব করি’।জিনার বিশ্বাস, আগামী দিনে বাহিনীতে যোগদানের ক্ষেত্রে তার এই লড়াই মুসলিম নারীদের অনুপ্রাণিত করবে। জিনার কথায়, নিউজিল্যান্ড পুলিশ যেভাবে আমাদের ধর্ম ও সংস্কৃতিকে মিলিয়ে দিয়েছেন, সেটা খুব ভালো। অনেকেই ধর্মের কারণে বাধা পেয়ে পুলিশে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে থাকলেও পারতেন না, এবার তাদের সেই বাধা দূর হয়েছে। জিনা জানান, আমি চাই মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের সাহায্যে আরও মহিলা পুলিশে যোগদান করুক।