পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: আবাস যোজনা নিয়ে এমনিতেই গত কয়েকদিন ধরে একের পর এক অশান্তির ছবি প্রকাশ্যে আসছে। কোথাও আশাকর্মীকে পঞ্চায়েতে আটকে রেখে বিক্ষোভ। কোথাও আবার সাধারণ মানুষ নাম না থাকার কারণে বিডিও অফিস ফেরাও করছে। এই অবস্থায় স্বচ্ছভাবে আবাস যোজনার তালিকা তৈরি এবং সার্ভে করার জন্য গতকাল পুলিশের সাহায্য নেওয়ার কথা বলেছিল নবান্ন। এবার নবান্নের তরফ থেকে এই আবাস যোজনার কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য একটি টাস্ক ফোর্স গড়ে দেওয়া হল। ৯ সদস্যের এই টাস্কফোর্সের মাথায় থাকছেন পঞ্চায়েত দফতরের সচিব পি উল্গানাথন। নবান্ন সূত্রে যতটুকু জানাই দিয়েছে, এই ট্রাস্কফোর্সে থাকছে পঞ্চায়েত দফতরের একাধিক আধিকারিক।
জানা গিয়েছে, এই ট্রাস্ক ফোর্সের আধিকারিকরাই মূলত সামগ্রিকভাবে গোটা রাজ্যে আবাস যোজনা নিয়ে যাবতীয় অভিযোগ দেখবে। এখানেই শেষ নয়, স্বচ্ছতার সঙ্গে আবাস যোজনার কাজ পর্যালোচনা থেকে শুরু করে সামগ্রিক দায়িত্ব থাকবে তাদের। এক্ষেত্রে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা করা, জব কার্ড ম্যাপিং, গ্রামসভার বৈঠক আয়োজন করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করবে এই টাস্ক ফোর্স।
ইতিমধ্যেই নবান্নের তরফ থেকে আবাস যোজনার কাজ সফলভাবে করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকারের তরফ থেকে জেলায় জেলায় একজন করে আইএস ও ডব্লিউবিসিএস পর্যায়ে অফিসারকে নিয়োগ করা হয়েছে। গ্রামীণ আবাস যোজনা নিয়ে যাতে কোনও রকম অভিযোগ না ওঠে বা নিখুঁতভাবে কাজ করা যায়, প্রত্যেকটি জেলায় তার জন্য এই অফিসারদের নিয়োগ করেছে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাজ্য পঞ্চায়েত দফতর সমস্ত জেলাশাসকদের সতর্ক করেছে ‘আবাস যোজনা’ নিয়ে। সাফ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, জেলাশাসকের দফতরে কন্ট্রোলরুম চালু করতে হবে। শুধু তাই নয়, নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, জেলাশাসক, মহকুমা শাসক এবং বিডিও অফিসে বাধ্যতামূলকভাবে রাখতে হবে কমপ্লেন বক্স।