পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: চলতি বছরেই জোকা-তারাতলা এবং নিউ গড়িয়া-রুবি রুটে যাত্রী পরিষেবা শুরু করার পরিকল্পনা নিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। পূর্বের এক পরিকল্পনায় ঠিক হয়েছিল, দীপাবলির আগেই এই দুই রুটে মেট্রো পরিষেবা শুরু করা হবে। কিন্তু তা হয়নি। ইতিমধ্যেই মেট্রোর তরফে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি বা সিআরএসের পরিষেবা চালুর বিষয়ে ছাড়পত্রের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। নিয়ম মেনে এখন উক্ত দুই রুটেই মেট্রোর ট্রায়াল রান চলছে। মেট্রোর আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, আপাতত ওয়ান লাইন ওয়ান মেট্রো সার্ভিসে এই দুই লাইনে যাত্রী পরিষেবা শুরু হবে।
সারাদিন একটি মেট্রোই যাতায়াত করবে। তাই এখনই সিগনাল পরীক্ষার দরকার নেই। ফলে বিশেষজ্ঞরা এই দুই লাইন দেখে যাওয়ার পর পরিষেবা চালুর ছাড়পত্র পেতে খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
জোকা-তারাতলা লাইনে জোকা, ঠাকুরপুকুর, শখেরবাজার, বেহালা চৌরাস্তা, বেহালা বাজার এবং তারাতলা, এই ছয়টি স্টেশন রয়েছে। এই মেট্রো লাইনের মোট দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে ছয় কিলোমিটার। ঠিক হয়েছে, এই লাইনে ‘ওয়ান ট্রেন সার্ভিস’ শুরু করা হবে।
স্বাভাবিক গতিতে মেট্রো ছুটলে এই দূরত্ব যেতে ১৮-১৯ মিনিটের মতো সময় লাগবে। নিউ গড়িয়া-রুবি লাইনে কবি সুভাষ, সত্যজিৎ রায়, জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী, কবি সুকান্ত এবং হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, এই পাঁচটি স্টেশন রয়েছে। এই মেট্রো লাইনের মোট দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার। আপাতত এই রুটেও একটি মেট্রোই চলবে। তবে যাত্রী বাড়লে ভবিষ্যতে মেট্রোর সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে জানাচ্ছেন মেট্রোর এক আধিকারিক।
মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, খুব দ্রুত এবং নিয়ম মেনে কাজ শেষ হয়েছে। জিএম-এর কথা মতো কালীপুজোর সময় পরিষেবা চালু করার কথা। তবে সিআরএস ছাড়পত্র না পেলে পরিষেবা চালু করা সম্ভব নয়।