পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তো কবেই লিখে গিয়েছেন তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে/ সব গাছ ছাড়িয়ে/ উঁকি মারে আকাশে। ভাদ্রমাসে বাংলার হেঁশেল ম-ম করে তাল পিঠে, তাল ফুলুরির সুবাসে। কিন্তু জানতেন কি রোগ সারাতে তালের কোন বিকল্প নেই।
বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, লাওস, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, মায়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ফিলিপাইনে এ গাছ জন্মে থাকে।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় তালের ব্যবহার প্রচুর। কচি তালের রস পিত্তাধিক্য, আমাশয়, নিরাময় করে। তালের বাকলের নির্যাস দাঁতের সমস্যায় উপকারী।
তালের মধ্যে থাকা বিভিন্ন খনিজ উপাদান ও পুষ্টিগুণ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। স্বাদের পাশাপাশি তালের স্বাস্থ্যগুণও অনেক। চলুন তালের স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে জেনে নিই-
তালে রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি, জিংক, পটাশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়ামসহ আরও অনেক খনিজ উপাদান। এর সঙ্গে আরও আছে অ্যান্টি-অক্সিজেন ও অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান।
পাকা তালের প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যযোগ্য অংশে রয়েছে ভিটামিন ৮৭ কিলোক্যালরি, জলীয় অংশ ৭৭.৫ গ্রাম, আমিষ .৮ গ্রাম, চর্বি .১ গ্রাম, শর্করা ১০.৯ গ্রাম, খাদ্য আঁশ ১ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৭ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৩০ মিলিগ্রাম, আয়রন ১ মিলিগ্রাম, থায়ামিন .০৪ মিলিগ্রাম, রিবোফ্লাভিন .০২ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন .৩ মিলিগ্রাম ও ভিটামিন সি ৫ মিলিগ্রাম।
তাল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণসমৃদ্ধ হওয়ায় ক্যানসার প্রতিরোধে সক্ষম। এ ছাড়া স্বাস্থ্য রক্ষায়ও তাল ভূমিকা রাখে। স্মৃতিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
তালের রসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স রয়েছে৷ ভিটামিন বি-এর অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধে তাল ভূমিকা রাখে। তালের রসে কৃমির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়৷
তালে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস আছে, যা দাঁত ও হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধে সহায়ক। কোষ্ঠকাঠিন্য ও অন্ত্রের রোগ ভালো করতে তাল ভাল ভূমিকা রাখে।
কাশি সারাতে ৩-৪ চামচ তালের রস দুধের সঙ্গে মিশিয়ে সকাল বিকাল কয়েকদিন খেলে পুরোনো কাশি ভাল হয়ে যায়।