পুবের কলম প্রতিবেদক: মানুষ অবশ্যই সৃষ্টির মধ্যে সেরা, তাই মানুষের সেবা করতেই হবে। পাশাপাশি জীব-জগতের বাকি সৃষ্টি মানে ‘খালক’ এর সেবাও করতে হবে। এটাই ইসলামের শিক্ষা। আর তা মানতে পারলেই তো জীবনের সার্থকতা। বৃহস্পতিবার কলকাতার উর্দু আকাদেমির অডিটোরিয়ামে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘মানবতা’র আলোচনাসভায় এভাবেই সমাজসেবাকে তুলে ধরেন পুবের কলম-এর সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ আহমদ হাসান ইমরান।
উল্লেখ্য, এ দিন মানবতার তরফে যুব দিবস পালন করা হয়। তাতে বিশিষ্টরা সমাজসেবা ও যুবকদের ভূমিকা নিয়ে বক্তব্য রাখেন। পাশাপাশি ১৬০জন পড়ুয়াকে শিক্ষাসামগ্রী হিসাবে খাতা, কলম, পেনসিল ইত্যাদি প্রদান করা হয়।
এ দিনের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে আহমদ হাসান ইমরান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আল-আমীন মিশনের অন্যতম সহযোগী প্রতিষ্ঠাতা মারুফ আজম, ডা. এস জেড খান, মদত আলি, মহসিন আলি, দিলদার সাহেব, ড. ফরিদ উদ্দিন, বসুদেব উকিল, প্রফেসর মোকান্দর শেখ, কামরুজ্জামান, দানবীর-এর সহিদুল ইসলাম, আয়াতুল্লাহ ফারুকি, সেলিম পিয়াদা প্রমুখ।
এ দিন আহমদ হাসান ইমরান বলেন, মানুষ রয়েছে কিন্তু ইনসানিয়াত মানে মানবতার হারিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সবাইকে মনে রাখতে হবে মানুষ ও মানবতা পরিপূরক। তিনি আরও বলেন, সমাজসেবার পাশাপাশি পরিবেশ ও জীব-জগতের অন্যান্য সৃষ্টিরও সেবা করতে হবে। ইসলাম ও নবী মুহাম্মদ সা. সেই শিক্ষাই দিয়েছেন। তারপরই তিনি উল্লেখ করেন, মহামানবরা সবসময়ই মানুষে দিশা দেখিয়েছেন। সমাজে কিছু খারাপ মানুষ থাকতেই পারে, কিন্তু আদর্শ মানুষরা হবেন আমাদের প্রেরণা।
এ প্রসঙ্গে স্বামী বিবেকানন্দ থেকে সারদা দেবী, মুহাম্মদ থেকে মা খাতিজা সকলের কথা তিনি উল্লেখ করেন। যুব সমাজকে ভালো কাজের জন্য এগিয়ে আসতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
অন্যদিকে, ডা. এস জেড খান যুবদের উদ্দেশ্যে বলেন, সংসার-সমাজে মানুষ আপনার কাছে অনেক কিছুই চাইতে পারে, তাই নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে জীবনের লক্ষ্য কী। তাঁর কথায়, মানুষের জন্য কাজ করা বিশেষ করে ইনসানিয়াত ও ইনসাফের হয়ে কাজ করতে পারলেই সফল হওয়া যায়। একই কথা বলেন মারুফ আজম সাহেব। তাঁর কথায়, মানুষ নিজের জীবন ও কেরিয়ার নিয়ে কতোই না ব্যস্ত, কিন্তু কিছু মানুষ অন্যের কথা ভাবেন। এমন মানুষ আছেন বলেই জগৎ-সংসার ভালোভাবে চলছে বলে মন্তব্য করে তিনি। তারপর তাঁর পরামর্শ, সমালোচনা ও পরনিন্দা না করে সমাজের জন্য করে করে যেতে হবে।
অন্যান্যরাও সমাজসেবায় যুবদের আরও বেশি করে এগিয়ে আসার কথা বলেন। আর মানবতার কাজ ও আগামী দিনের লক্ষ্য নিয়ে সংক্ষেপে বক্তব্য পেশ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলি পিয়াদা।
কুরআন তেলাওয়াত, অতিথি বরণ ও অন্যান্য কাজে বিশেষভাবে সহযোগিতা করেন ডা. জাফরিয়াব পিয়াদা, হাফেজ ডা. আরসালান, ডা. জাকারিয়া, ডা. তৌহিদ, জাহানারা খাতুন, তুলাইন পারভিন, সামীম আখতার প্রমুখ।