পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। এবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও ৬টি জায়গায় এক জায়গায় হানা দেয় ইডি। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের বাসিন্দা চন্দন মাইতি ও তাপস মণ্ডলের বাড়িতে ইডি আধিকারিকদের হানা। সকালেই মহিষবাথানের একটি অফিসে হানা দেয় ইডি৷
সূত্রের খবর, টেট দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত মানিক ভট্টাচার্যের এক ঘনিষ্ঠ এই অফিস ভাড়া নিয়ে টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার চালাতেন৷ যদিও গত দু’ মাস আগে আচমকাই এই অফিস আচমকাই বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি ট্রেনিং সেন্টারের নাম লেখা সেই বোর্ডও সরিয়ে নেওয়া হয়। সকাল আটটা নাগাদ ওই ট্রেনিং সেন্টারের সামনে পৌঁছে যান ইডি আধিকারিকরা৷ যদিও চাবি না পেয়ে প্রথমে অফিসে ঢুকতে পারেননি তাঁরা৷ বাড়ির মালিকের কাছেও চাবি ছিল না৷ শেষ পর্যন্ত একজন চাবিওয়ালাকে ডেকে নিয়ে এসে শাটারের তালা ভেঙে অফিসের ভিতরে ঢোকেন আধিকারিকরা। একাধিক ফর্ম, ছবি, স্ট্যাম্প সহ বেশ কয়েকটি জিনিস উদ্ধার হয়েছে।
বাড়ির মালিক জানিয়েছেন, কোচিং সেন্টারে যেমন পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম শ্রেণীর কাজ চালানো হত বলা হয়েছিল। এর ভিতরে কি চালানো হত, কিছু জানি না। আর উনি সব কিছুতেই এই বাড়িরই ঠিকানা দিতেন। পাঁচ মাস ধরে পাঁচ মাস ধরে ভাড়াও পাননি তিনি৷ অফিসে থাকা সিসিটিভি-র ফুটেজও উদ্ধার করার চেষ্টা করছেন ইডি কর্তারা৷
ইডি সূত্রে খবর, অযোগ্য প্রার্থীরা চাকরি পেয়েছিল তাদের নিয়োগ সংক্রান্ত লেনদেন এই অফিসেই হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ ইডি কর্তাদের৷ কে বা কারা এই অফিস ভাড়া নিয়ে চালাচ্ছিলেন, তার খোঁজ চালাচ্ছেন ইডি কর্তারা৷