রেজাউল করিম, মোথাবাড়ি: স্বচ্ছ বিদ্যালয় পুরস্কারে রাজ্যস্তরের প্রতিযোগিতার জন্য মনোনীত হয়েছে জেলার ১৩টি স্কুল। জেলাস্তরে স্বচ্ছ বিদ্যালয় পুরস্কার পাচ্ছে জেলার ৩৫ স্কুল রাজ্যস্তরের প্রতিযোগিতার মূল্যায়ন হবে ২১-২৪ জুন।
রাজ্যের নির্বাচিত কমিটি নির্ধারিত স্কুলগুলিতে গিয়ে নিরীক্ষণ চালাবে। সেখানে নির্বাচিত হলে জাতীয় স্তরে পুরস্কারের প্রতিযোগিতার জন্য মনোনীত হবে।
উল্লেখ্য, জেলার মোট ১৯৩৮টি বিদ্যালয় অংশ নেয় স্বচ্ছ বিদ্যলয় পুরস্কারের জন্য। সেখানে প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাই মাদ্রাসা, উচ্চ বিদ্যালয় এমনকী বেসরকারি স্কুলও রয়েছে। বিভিন্ন বিভাগে ভাগ করা হয়েছে পুরস্কারের জন্য। রাজ্যস্তরে প্রতিযোগিতার জন্য প্রাথমিক বিভাগ থেকে মনোনীত হয়েছে দুর্গাপুর এসসি প্রাথমিক, মহব্বতপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং হরদম নগর জেআর বেসিক স্কুল। উচ্চ বিদ্যালয় বিভাগে শোভানগর হাই স্কুল শুক্রাবাড়ি এ কে হাই মাদ্রাসা এবং শ্যামসুখী বালিকা শিক্ষা নিকেতন। শহর কেন্দ্রীক বিদ্যালয়ের মধ্যে রাজ্যস্তরে মনোনীত হয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যা মন্দির। অনু-বিভাগের মধ্যে পানীয় জলের সঠিক ব্যবহার ও সংরক্ষণ বিভাগে মনোনীত শোভানগর হাইস্কুল। স্বচ্ছ শৌচালয়ের জন্য রাজ্যস্তরের জন্য মনোনীত স্বামী বিবেকানন্দ অ্যাকাডেমি। হাত ধোয়ার ক্ষেত্রে সাবানের ব্যবহারে মনোনীত গোপীনাথপুর প্রাথিমিক বিদ্যালয়। বর্জ্য পদার্থের প্রক্রিয়াকরণ এবং পুনর্ব্যবহারের ক্ষেত্রে মনোনীত ভাদো বিএসবি হাইস্কুল চরিত্র গঠনে সামাজিক দায়িত্ববোধের ক্ষেত্রে দাল্লা চন্দ্রমোহন বিদ্যামন্দির এবং করোনা পরিস্থিতিতে নিয়মাবলী মানা ও সতর্কতা নেওয়ার ব্যাপারে রাজ্যস্তরে মনোনীত মোহনপাড়া নিবেদিতা বালিকা বিদ্যালয়।
জেলাস্তরেও একইভাবে বিভিন্ন বিভাগে মোট ৩৫টি স্কুলপুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে। একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্কুলগুলিকে পুরষ্কৃত করা হবে বলে সমগ্র শিক্ষা মিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।
ডিপিও সৌম্য ঘোষ জানান, ‘জেলাস্তরের প্রতিযোগিতায় একটি কমিটি তৈরি করা হয়। ওই কমিটির সদস্যরা নির্ধারিত স্কুলগুলিতে গিয়ে মূল্যায়ন করে বিভিন্ন বিভাগের জন্য মনোনীত করেন। তারপর পুরস্কারের জন্য বাছা হয়। জেলাস্তর থেকে রাজ্যস্তরের প্রতিযোগিতার জন্য মনোনীত করা হয় ১৩টি স্কুল।