মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের জন্য মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে কঠোর মন্তব্য করেছে। প্রয়োজনে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন তুলে দেওয়া হবে বলেও মাননীয় হাইকোর্টের কাছ থেকে অভিমত এসেছে। কিন্তু মুসলিম সমাজের সচেতন ও ইনসাফ-পসন্দ ব্যক্তিরা চান মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন বজায় থাকুক। কারণ, এই সার্ভিস কমিশন সঠিকভাবে কাজ করলে স্বচ্ছতা ও মাদ্রাসার মান অক্ষুন্ন রাখা যাবে। কিন্তু শিক্ষক নিয়োগে কেন অনিয়ম হচ্ছে, কিভাবে হচ্ছে, এর জন্য কারা দায়ী, আর কিভাবে তা বন্ধ করা সম্ভব এসব প্রশ্ন নিয়ে কলম ধরেছেন অধ্যাপক সাইফুল্লা। লেখকের আশঙ্কা, বর্তমান পরিস্থিতি বজায় থাকলে হয়তো বাংলার মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাই সংকটাম্পন্ন হতে পারে। নিবন্ধ লেখকের মূল্যায়ণ তা সম্পূর্ণ নিজস্ব। অন্য কারও ভিন্ন মত থাকলে পুবের কলমে তা প্রকাশ করা হবে।
কথায় বলে শনির দশা কাটছে না। পশ্চিমবঙ্গের মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও যেন তাই হচ্ছে। মাদ্রাসায় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে কারা শেষ কথা বলবে, মাদ্রাসা পরিচালন সমিতি না মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন। জনচিত্তে বিতর্কের নিরসন হয়নি আজও। দৃশ্যত দুটো পক্ষ তৈরি হয়েছে এবং উভয় পক্ষেই যুক্তি প্রতিযুক্তির অভাব নেই। সে যাই হোক, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আইনানুগভাবে সমস্যার একটা সমাধান হয়েছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের কর্তৃত্ব এবং স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন অনেকেই।
কিন্তু না, এমন স্বস্তি শীতের কুয়াশার মতোই দ্রুত অপসৃত হওয়ার মতো অবস্থা। মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের কর্তৃত্ব এখন রীতিমতো প্রশ্নচিহ্নের মুখোমুখি। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার প্রেক্ষিতে মাদ্রাসা পরিচালন সমিতির সামনে বেশ একটু সুযোগ তৈরি হয়েছে, তারা কায়দা করে কোনো কোনো ক্ষেত্রে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের সুপারিশকে বুড়ো আঙুল দেখাতে পারেন।
সম্প্রতি মাদ্রাসাগুলিতে যে ট্রান্সফার বা বদলি প্রক্রিয়া চলছে তাতে বেশ কিছু শিক্ষক-শিক্ষিকার কপাল পুড়তে পারে। ট্রান্সফারের সুপারিশপত্র হাতে নিয়ে তারা কাঙ্ক্ষিত মাদ্রাসার দুয়ার থেকে ফিরে আসতে পারেন সম্পূর্ণ শূন্য হাতে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিতে পারেন, তাদের এখানে ওই বিষয়ে কোনও শূন্যপদ নেই, উক্ত শূন্যপদে ইতিপূর্বেই শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। এমনিতে অবিশ্বাস্য বলে মনে হলেও হ্যাঁ এমনটাই হতে চলেছে এবং যে ঘটনার প্রেক্ষিতে এটা হতে যাচ্ছে তা এইরকম।
আমরা জানি কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে একদা অবৈধ বলে ঘোষিত হয়েছিল মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন (০৯-১২-২০১৫)। তখন এই রায়কে মান্যতা দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার মাদ্রাসা পরিচালন সমিতির উপর নতুন করে নিয়োগের কর্তৃত্ব আরোপ করেছিল। পরে মাদ্রাসা ফোরাম এর ব্যবস্থাপনায় বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ালে সুপ্রিম কোর্ট তাৎক্ষণিকভাবে রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা অর্থাৎ পরিচালন সমিতির নিয়োগ ক্ষমতার উপর স্থগিতাদেশ জারি করে এবং শেষাবধি কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে বাতিল করে দিয়ে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে মান্যতা দেন।
এক্ষেত্রে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত করা হয় বটে, তবে অন্তর্বর্তীকালীন অর্থাৎ রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা জারি ও সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশের মাঝের সময় (০৩-০৩-২০১৬ থেকে ১৪-০৩-২০১৬) কমিটি কর্তৃক যেসব পদে (৭০টি) নিয়োগ করা হয়েছিল তাকে দেওয়া হয় মান্যতা। আর সেখান থেকেই নতুন করে সমস্যার সূত্রপাত হয়।
কিছু মাদ্রাসা পরবর্তীকালে ব্যাকডেটে অর্থাৎ ওই অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে নিযুক্ত করা হয়েছে এটা প্রতিপন্ন করে বেশ কিছু শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর (যারা আদেও ওই সময় নিযুক্ত হয়নি) বেতনের জন্য আবেদন জানায়। বিষয়টা যেহেতু সম্পূর্ণ অবৈধ তাই ওইসব শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের বেতন দেওয়ার কোনও প্রশ্ন ওঠে না।
সংশ্লিষ্ট ডি আই-রা এক্ষেত্রে যথার্থ অবস্থানই নিয়েছিলেন। এদিকে তাদের দ্বারা প্রত্যাখাত হয়ে ওইসব পরিচালন সমিতি বা তাদের অধীনস্থ কর্মীরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। সুপ্রিম কোর্ট তাদের আবেদন গ্রহণ করে এবং যথানিয়মে শুনানি শুরু করেন। শুনানি চলে এক বছরের অধিক দিন ধরে।
ফেব্রুয়ারি ২০২১ থেকে মে ২০২২ এর মধ্যে ৭টি শুনানি হয় এবং প্রত্যেকটি শুনানিতে অনুপস্থিত থাকে প্রতিপক্ষ অর্থাৎ মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর ডিএমই, মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন, সংশ্লিষ্ট ডি আই প্রমুখ। এই প্রেক্ষিতে মাননীয় বিচারক আবেদনকারীদের পক্ষে চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন (১৯-০৫-২০২২)।
এই রায়ে বলা হয়, ১২ জুলাই ২০২২ এর মধ্যে প্রত্যেক আবেদনকারীকে বকেয়াসহ (২০১৬ থেকে হিসাব করে) সমস্ত বেতন পরিশোধ করতে হবে; এই নির্দেশ অবমাননা করা হলে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উক্ত রায়ের সাপেক্ষে উৎসাহিত হয়ে এমনিভাবে ব্যাকডেটে নিয়োগ দেখিয়ে নতুন করে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয়েছেন প্রায় ১৭০ (একশত সত্তর) জন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী। এখন জল যেদিকে গড়াচ্ছে তাতে আদালতের রায় তাদের পক্ষে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। যদি তাই হয় তবে আগামীতে এই সংখ্যাটা ১৭০ থেকে ১৭০০ (সতেরশো)-তে উপনীত হওয়া অসম্ভব নয়।
প্রশ্ন উঠতে পারে, যদি তাই হয় তাতে ক্ষতি কী। আপাত দৃষ্টিতে দেখলে কোনও ক্ষতি নেই বলে মনে হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু একটু খতিয়ে দেখলে প্রতিপন্ন হবে এক্ষেত্রে চূড়ান্ত ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে এবং এই সম্ভাবনার পথ ধরে চিরতরে বন্ধ হয়ে যেতে পারে সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসা সমুহের দরজা, এমনকি পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার যবনিকাপাত হওয়াও অসম্ভব নয়। আদালতের নির্দেশ অনুসারে বেতন পরিশোধ করতে হলে আবেদনকারী এক একজন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীকে কম বেশি ত্রিশ লক্ষ টাকা পরিশোধ করতে হবে। অর্থাৎ আপাতত যারা আবেদন করে বসে রয়েছেন তাদের দাবি পূরণ করতে সরকারি কোষাগার থেকে ব্যয় করতে হবে কয়েক কোটি টাকা এবং এই ধারা চলতেই থাকবে।
কেননা এক্ষেত্রে আরও কমবেশি ৭০০ জন প্রস্তুত হয়ে রয়েছেন নতুন করে আবেদন করার জন্য। এইভাবে বিপুল অঙ্কের টাকা যখন সরকারি কোষাগার থেকে বেরিয়ে যাবে তখন টনক নড়বে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের এবং চারিদিকে হৈ হৈ শুরু হবে, বসবে তদন্ত কমিটি। স্কুল সার্ভিস কমিশনের ক্ষেত্রে যেমন হয়েছে। অতঃপর একে একে সামনে আসবে যাবতীয় জাল-জালিয়াতির তথ্য। এখনকার যে যান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা তার প্রেক্ষিতে কাগজপত্র ম্যানুপুলেট করে ২০১৬ সাল থেকে এক একজন শিক্ষককে কর্মরত হিসাবে প্রতিপন্ন করা সম্পূর্ণ অসম্ভব। কাজেই তদন্ত যেদিন শুরু হবে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে সব কিছু। প্রত্যক্ষ অপরাধীদের যে শাস্তি হওয়ার তা তো হবেই, পাশাপাশি মুখ পুড়বে মুসলমান সমাজের। প্রচার মাধ্যম হই হই করে ছুটে আসবে। এতবড়ো সুযোগকে কাজে লাগাতে তারা এতটুকও শৈথিল্য করবে না।
সব মিলিয়ে সম্পূর্ণ বিবস্ত্র হয়ে পড়বে মুসলমান সমাজ। তখন চাই কী, পাহাড় পরিমাণ দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গভীর প্রশ্নচিহ্নের সামনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হবে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে। তারপর যা হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।
প্রশ্ন উঠতে পারে, এতবড় দুর্নীর্তি হচ্ছে তারপরেও সুপ্রিম কোর্টের রায় কীভাবে আবেদনকারীদের পক্ষে যাচ্ছে। আসলে এক্ষেত্রে আদালতের দিক থেকে কোনও ভুল নেই। আবেদনকারীদের আবেদন আদালত নিয়ম মেনে গ্রহণ করেছে ও যথানিয়মে শুনানি হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ অর্থাৎ মাদ্রাসা দফতরকে আদালতে উপস্থিত থেকে মাননীয় বিচারকদের বোঝাতে হত যে আবেদনকারীরা কোথায় কীভাবে মিথ্যাচার করছে, তারা যে সম্পূর্ণ ফেক শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী, আদতে তারা ২০১৬ সাল থেকে ওই পদে নিযুক্ত হননি, এটা মাননীয় বিচারকদেরকে ভালোভাবে বোঝাতে হত এবং তা বোঝানোর জন্য প্রয়োজনীয় হাজারও উপাদান ছিল তাদের হাতে।
প্রতি বছর প্রত্যেক মাদ্রাসা থেকে যে ডাইস রিপোর্ট পাঠান হয় সেটা তুলে ধরা হলেই বিষয়টা অনেকটা স্পষ্ট হত। দেখতে চাওয়া যেতেই পারত নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপনসহ সংশ্লিষ্ট অপরাপর কাগজপত্র। কিন্তু এসব কিছুই করা হয়নি। মাদ্রাসা দফতরের পক্ষ থেকে আদালতকে কোনও কথাই বলা হয়নি, তাদের হয়ে কোনও আইনজ্ঞ ন্যূনতম আইনি লড়াই করেননি। এই অবস্থায় আবেদনকারীরা একটা নিয়োগপত্র মাত্রকে হাতিয়ার করে আদালতের দ্বারস্থ হয়ে বাজিমাৎ করতে চলেছে।
অন্যপক্ষের বক্তব্য শোনার সুযোগ থেকে বঞ্চিত মাননীয় বিচারকরা তাঁদের বিবেচনা মতো যা ভালো মনে করেছেন তেমনি নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পরিচালন সমিতি কর্তৃক নিয়োগের বিজ্ঞাপন ও সুপ্রিমকোর্টের স্থগিতাদেশের মধ্যে ছিল মাত্র ১১-১২ দিনের ব্যবধান। এত অল্প সময়ের মধ্যে নিয়ম মেনে এত বেশি সংখ্যক শিক্ষকের নিয়োগ কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তাছাড়া সুপ্রিম কোর্ট একটা সময়ে যখন জানতে চেয়েছিল অন্তর্বর্তীকালীন পরিচালন সমিতির দ্বারা নিযুক্ত শিক্ষকদের বিস্তৃত পরিচয় তখন এইসব ভুয়ো শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা মুখ লুকিয়ে ছিলেন পর্দার আড়ালে, এসব কথা আদালতের সামনে তুলে ধরা হয়নি। স্বভাবত একপক্ষ রায় হয়েছে।
এমন রায়ের প্রেক্ষিতে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় চূড়ান্ত বিপর্যয় ঘটা শুধু সময়ের অপেক্ষা বলে মনে হচ্ছে। তবে এখনও সময় আছে। ১২ জুলাই আসতে অদ্যাবধি এক মাস বাকি। ইতোমধ্যে মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর যদি উদ্যোগী হন তবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যেতে পারে। এখনও সুপ্রিম কোর্টকে বোঝানোর সুযোগ রয়েছে যে আবেদনকারী শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা সম্পূর্ণ ফেক। কিন্তু কথা হল মাদ্রাসা শিক্ষাদফতর আদতে তা করবেন কি না। আরও কথা আছে, বৎসরাধিক কাল ধরে কেন তারা এটা নিয়ে কিছু করেননি? কেন উপযুক্ত আইনজ্ঞ নিযুক্ত করে তাদের বক্তব্য তুলে ধরা ও আবেদনকারীদের আবেদনের অসারতা প্রতিপন্ন করা হয়নি?
হতে পারে এটা করা হয়েছে নেহাতই ক্যাজুয়ালি, এর ফলাফল কী মারাত্মক হতে পারে তা খতিয়ে দেখা হয়নি। আবার এও হতে পারে, সমস্ত বিষয়টার মধ্যে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। আগামীতে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার ইতি টানার লক্ষ্যে নেপথ্য থেকে কলকাঠি নাড়ছে এক বিশেষ মতাদর্শে বিশ্বাসী লোকজন। মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তাব্যক্তি সহ অন্যেরা এক্ষেত্রে তাদের দ্বারা ব্যবহৃত হচ্ছেন মাত্র। যদি তাই হয়, তবে নতুন করে আর কিছু বলার থাকে না।
সেক্ষেত্রে নিজেদের স্বার্থেই মুসলমান সমাজকে উদ্যোগী হতে হবে, প্রয়োজনে সরাসরি প্রতিবাদের ঝান্ডা হাতে নিয়ে নেমে আসতে হবে রাজপথে সম্ভাব্য সব পক্ষের বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে হবে প্রাণপণে। বিশেষ করে চূড়ান্ত অবস্থান নিতে হবে ওইসব দুর্নীতি পরায়ণ প্রধান শিক্ষক ও পরিচালন সমিতির সদস্যদের বিরুদ্ধে যারা উল্লেখিত ত্রিশ লাখ টাকার হিস্যা পাওয়ার জন্য লালায়িত, যারা ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে কলঙ্কিত করতে কোনোরকম কুণ্ঠাবোধ করছেন না। এরা জাতির জন্য শত্রু সুস্থ মানবতার পক্ষে অভিশাপ স্বরূপ। এদের বিরুদ্ধে হতেই হবে ক্ষমাহীন।
লেখক আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার বিভাগের অধ্যাপক