পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ রাত বারোটা তখনও বাজেনি। শপিং মলের গেট খোলা হয়নি। বাইরে হাজার হাজার মানুষ। গভীর রাতে ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে সবক’টি আইটেমে। এই ঘোষণার পর লুলু শপিং মলের তিরুবনন্তপুরম ও কোচির শপিং মল গভীর রাতে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। একাধিক ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। শপিং মলের ভিতরে থিকথিক করছে কাস্টমার, প্রত্যেকের হাতেই ব্যাগ ও পছন্দের মালপত্র। ভিড় নিয়ন্ত্রণের আপ্রাণ চেষ্টা চলছে। অর্ধেক দামে বিকোচ্ছে শপিং মলের সব ধরনের আইটেম এই খবর অনেকে বিশ্বাস করছিল না। কিন্তু ভিডিয়ো দেখার পর ঘুম বন্ধ করে মানুষ ছুটে এসেছে মলে। বিক্রির সময় নির্দিষ্ট রাখা হয়েছিল। মাত্র ১১.৫৯ মিনিট থেকে ভোর পর্যন্ত। পরে অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছয় গেট বন্ধ করে দিতে হয়। মল থেকে বের হচ্ছেন দলে দলে মানুষ হাতে মাথায় কাঁধে করে সামগ্রী নিয়ে খুশি মনে বাড়ির দিকে যাচ্ছেন। শপিংমলের বাজারে প্রবেশ করেই প্রথমে বাজিমাত করল এই মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি। কেরলের লুলু গ্রুপের বিশাল আধিপত্য মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলিতে। কিন্তু ভারতের বাজারে এইভাবে তাদের প্রথম আবির্ভাব সাড়া ফেলে দিল কেরলে। যদিও লুলু মলের এই উদ্যোগের সমালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রথম অভিযোগ কোভিড বিধির বারোটা বাজানো হয়েছে রাত বারোটায়। অনেকে এই সেলকে ‘কোভিড সেল’ আখ্যা দিয়েছে। অনেকে উদ্যোগ প্রকাশ করেছেন ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে। ঈশ্বর বাঁচিয়েছেন, কোনও পদপিষ্টের ঘটনা ঘটেনি, যদিও প্রবল সম্ভাবনা ছিল বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন। অনেকেই মন্তব্য করেছেন ‘কেরলে কালো শুক্রবার’ বড় অঘটন থেকে বেঁচেছে মানুষ। কোনও রকম সুরক্ষার ব্যবস্থা না করেই এত মানুষের আয়োজন করা হল এরপরের দিনগুলো যে কী হবে ভগবান জানেন। কেউ কেউ বলছেন এটা কাস্টমারদের কিছুটা সুবিধা দেওয়ার অফার হলেও আসলে বাজার দখল করার স্ট্রাটেজি ছিল এটা। লুলু মল আসছে এই বার্তা দেওয়া হল অভিনব উপায়ে। আবার কেউ কেউ বলছেন বিদেশের শহরগুলির মতো কেরলে রাতের বাজার আলো করার এটা প্রথম পদক্ষেপ। যতই সমালোচনা হোক কাস্টমাররা কিন্তু খুশি রাতের শান্ত পরিবেশে অর্ধেক দামে সামগ্রী কিনে বাড়ি ফেরার আনন্দই আলাদা তাদের কাছে।