পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : লাউড স্পিকার বিতর্কে নিজের যাঁতাকলে নিজেই জড়িয়ে পড়ল বিজেপি। সম্প্রতি মসজিদ থেকে লাউডস্পিকার খুলে নেওয়ার নির্দেশ দেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এর পর সেই বিতর্কের প্রভাব পড়ে তৎকালীন মহারাষ্ট্র সরকার উদ্ধব ঠাকরের আমলে।
সব থেকে বেশি এই বিতর্কে সরব হন মহারাষ্ট্র নবনির্বাণ সেনা প্রধান রাজ ঠাকরে। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি মসজিদ থেকে লাউডস্পিকার সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি উত্থাপন করেন, আর যার পরেই দেশ জুড়ে বিতর্কের ঝড় শুরু হয়।
ইতিমধ্যেই রাজ্য-রাজনীতিতে বহু দূর জল গড়িয়েছে। মহারাষ্ট্র সরকার পরিবর্তন হয়েছে। মহারাষ্ট্রের গদিতে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেছেন একনাথ শিন্ডে আর উপ মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ। এদিকে উদ্ধব ঠাকরে সরকারের আমলে মাইক বাজানো নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। যার এখনও নিষ্পত্তি হয়নি।
সেই সময় আজানের পাল্টা সরব হয়ে বিজেপির তরফ থেকে মসজিদের পাশে হনুমান চাল্লিশা পাঠ করতে শোনা যায়।
লাউড স্পিকার বিতর্কে রাশ টানার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় তৎকালীন উদ্ধব ঠাকরে সরকারের আমলে। আর এবার যে বিতর্ক বিজেপি নিজেই শুরু করেছিল, নবরাত্রি উৎসবকে সামনে রেখে সেই লাউড স্পিকার বিতর্কে ইতি টানতে চাইছে বিজেপি! লাউড স্পিকার বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের দাবি জানালেন বিজেপি সাংসদ গোপাল শেট্টি।
চারদিন ধরে মধ্যরাত পর্যন্ত নবরাত্রি উৎসব পালন করার অনুমতি চেয়ে মহারাষ্ট্রের শিন্ডে-ফড়ণবীশ সরকারের কাছে আবেদন জানালেন বিজেপি সাংসদ গোপাল শেট্টি।
বিজেপির লোকসভা সাংসদ গোপাল শেট্টি বলেছেন, মহারাষ্ট্র সরকারের উচিত একই পরিস্থিতিতে গোবিন্দ এবং গণেশ উৎসব আয়োজকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করার পরে শব্দ সীমা লঙ্ঘনের জন্য নবরাত্রি আয়োজকদের বিরুদ্ধেও দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহার করা।
গোপাল শেট্টি আরও বলেন, মানুষ তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী উৎসব পালন করুক। গত দুবছরে করোনার কারণে ঠিক মতো প্রকাশ্যে নবরাত্রি উৎসব পালন করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এবছর নবরাত্রি জনসমক্ষে পালন করা হবে। তাই মানুষের আবেগের কথা ভেবে মাইক বাজিয়ে নবরাত্রি উৎসব পালন করার আবেদন জানিয়েছেন গোপাল শেট্টি।