নয়াদিল্লি, ১২ জুন: লোকসভা ভোটের পরে জম্মু ও কাশ্মীরে ধারাবাহিক জঙ্গিহানার ঘটনা নিয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকারকে নিশানা করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। এক্স হ্যান্ডলে বুধবার তিনি লেখেন, ‘নরেন্দ্র মোদি এখন অভিনন্দন বার্তার প্রতিক্রিয়া জানাতে ব্যস্ত। জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় নির্মমভাবে খুন হওয়া পুণ্যার্থীদের পরিবারের কান্নাও শুনতে পাচ্ছেন না তিনি।’ মঙ্গলবার রাত থেকে জম্মু-কাশ্মীরে সেনা-জঙ্গির গুলির লড়াই চলে। ডোডায় জঙ্গি হামলায় পাঁচজন সেনা জওয়ান ও একজন স্পেশাল পুলিশ অফিসার আহত হয়েছেন। ™ুলিশ সূত্রের খবর, গত সন্ধ্যায় হামলার ঘটনায় যে দু’জন জঙ্গি জড়িত ছিল তাদের মধ্যে একজন মঙ্গলবার রাতেই নিহত হয়েছে। দ্বিতীয় জঙ্গি লুকিয়ে ছিল জঙ্গলে। বুধবার সকালে সেই জঙ্গি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে। গত তিনদিনে কাশ্মীর উপত্যকায় তিনটি জঙ্গি হামলার ঘটনার পরেও প্রধানমন্ত্রী মোদি কেন নীরব, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাহুল। তিনি লিখেছেন, ‘কেন বিজেপির শাসনে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের ধরা হচ্ছে না, তার উত্তর চাইছে দেশ।’
জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ প্রত্যাহারের পর থেকে বার বার বিজেপি পরিচালিত সরকার দাবি করে আসছিল স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে কাশ্মীর। কিন্তু তাদের এই দাবি আসলে ফাঁপা। বুধবার এ বিষয়ে কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস নেতা পবন খেরা। তিনদিনে এই অঞ্চলে তিনটি সন্ত্রাসী হামলা প্রমাণ করছে জম্মু-কাশ্মীরের হাল ফেরেনি। জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি হামলা নিয়ে মোদির নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতা পবন খেরা। তিনি বলেন, মোদি তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হয়ে পাকিস্তানের নেতা নওয়াজ শরিফ এবং প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের অভিনন্দন বার্তার প্রতিক্রিয়া পোস্ট করতে ব্যস্ত। কিন্তু গত তিনদিনে রিয়াসি, কাঠুয়া এবং ডোডায় হামলার নিন্দা করার সময় পাননি। জম্মু-কাশ্মীরের রিয়াসিতে তীর্থযাত্রী বোঝাই বাসে জঙ্গি হামলার তিনদিন কাটতে না কাটতেই উপত্যকায় ফের পর পর দু’বার জঙ্গি হামলা। প্রথমে কাঠুয়ায় হামলা চালায় জঙ্গিরা। পরে ডোডায় হামলা চালায় সন্ত্রাসবাদীরা। নিহত হয়েছেন এক জওয়ান। পাশাপাশি এই ঘটনায় আহত হয়েছেন পাঁচজন সেনা জওয়ান ও এক পুলিশকর্মী।
কংগ্রেসের মিডিয়া এবং প্রচার বিভাগের চেয়ারপার্সন পবন খেরা বলেন, মোদি সরকার বুক চাপড়ে গত ১০ বছরে জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থাকে একটি ‘হত্যাকারী’ সংস্থায় পরিণত করেছে। নিরপরাধ মানুষ কাপুরুষোচিত সন্ত্রাসী হামলার পরিণতি ভোগ করছে, আর বলা হচ্ছে ব্যবসা যথারীতি চলছে। খেরা বলেন, পীর পাঞ্জাল, রেঞ্জ রাজৌরি, পুঞ্চ এখন আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে। গত দু’বছরে এখানে ৩৫ জনেরও বেশি সৈন্য নিহত হয়েছে। এ কথা তো মানবেন? নাকি এই সত্যও অস্বীকার করবেন। মোদি সরকারের জমানায় আমাদের নিরাপত্তা স্থাপনায় কমপক্ষে ১৯টি বড় সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। এ কথা কি অস্বীকার করতে পারেন? মোদি সরকার ২০১৬ সালে পাঠানকোট হামলার তদন্তের জন্য আইএসআই-কে যে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল সে কথা কি তারা অস্বীকার করতে পারে? মোদির জমানায় জম্মু ও কাশ্মীরে ২,২৬২টি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। তাতে ৩৬৩ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। ৫৯৬ জন জওয়ান নিহত হয়েছেন এ কথা কি তারা অস্বীকার করবে, প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতা।
![](https://archived.puberkalom.com/wp-content/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-2024-06-03-at-7.46.21-PM.jpeg)
![](https://archived.puberkalom.com/wp-content/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-2024-06-03-at-7.46.20-PM-1.jpeg)
![](https://archived.puberkalom.com/wp-content/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-2024-06-03-at-7.46.20-PM.jpeg)