পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির জনক বিজ্ঞানী ড. আবদুল কাদের খান ইন্তেকাল করেছেন। রবিবার সকাল ৭টা নাগাদ ইসলামাবাদের এক হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর । জানা গিয়েছে, করোনা থেকে সেরে ওঠার পর ফুসফুসের জটিলতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বিজ্ঞানী মহল। এই মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন পাক মন্ত্রী এবং বিশিষ্ট জনেরা।
বিজ্ঞানীর মৃত্যুতে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি বলেন, ১৯৮২ সাল থেকে তিনি ড. খান নামে এক বিশিষ্ট মানুষের সঙ্গে পরিচিত ছিলেন । তিনি বলেন, দেশের প্রতিরক্ষাখাতে উন্নয়নে তার যে অবদান তা কখনও ভুলবে না পাকিস্তানের মানুষ। গোটা জাতি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ।
বিরোধী দলীয় নেতা শেহবাজ শরিফ বলেন, জাতি একজন সত্যিকারের বন্ধুকে হারালো, যিনি অন্তর দিয়ে দেশের জন্য কাজ করে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে বহু ক্ষতি হলো দেশের। তার অসাধারণ কর্মগুণ পাকিস্তানকে পারমাণবিক শক্তির কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে।তাঁকে ফাদার অফ নিউক্লিয়ার আখ্যায় ভূষিত করেছিল আন্তর্জাতিক মহল।
ড. আবদুল কাদের খানের স্বাস্থ্যের অবনতি শুরু হয় শনিবার রাতেই । রবিবার সকাল ৬টায় একটি অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে কেআরএল হাসপাতালে আনা হয়। সকাল ৭টা ৪ মিনিটে তিনি মারা যান।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তাঁর জানাজার নামাজ ইসলামাবাদের ফয়সাল মসজিদে বিকেল সাড়ে ৩ টের সময় অনুষ্ঠিত হবে ।
১৯৯৮ সালের মে মাসে কাদিরের নেতৃত্বে পাকিস্তান পরমাণু পরীক্ষা চালিয়ে সফল হয়। তখন থেকেই পাকিস্তান বিশ্বের মধ্যে পরমাণু অস্ত্রধারী সপ্তম দেশ হয়ে ওঠে।
ডঃ আব্দুল কাদের খানের জীবনেও নেমে আসে বিপর্যয়।তিনি নাকি গোপনে ইরান এবং উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু প্রযুক্তি সরবরাহ করেছেনএই অজুহাতে পাকিস্থান সরকারের রোষানলে পড়েন কাদের। তাঁকে কার্যত গৃহবন্দী করে রাখা হয়।আমৃত্যু তেমন অবস্থাতেই দিন কেটেছে ডঃ কাদেরের।