পুবের কলম প্রতিবেদক, বসিরহাটঃ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির নিরাপত্তা বলায় ভেদ করে ঢোকার অভিযুক্ত যুবককে ইতিমধ্যে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজত নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত। হাফিজুলকে নিয়ে সিট গঠন করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিরাপত্তা আরো বাড়ানো হয়েছে। বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তদন্তের সার্থে পুরো গোপনীয়তা বজায় রেখে লালবাজারের ১০ থেকে ১২ জনের একটি তদন্তকারী দল হাফিজুলের বাড়িতে আসেন। সেখানে তার স্ত্রী, বাবা, মা ও দাদার সঙ্গে প্রায় এক ঘন্টা কথা বলেন তারা। তাদের বক্তব্য বয়ান রেকর্ডও করেন।
পাশাপাশি হাফিজুলের নাম ঠিকানা সহ সমস্ত তথ্য তারা নিজেরদের হেফাজতে নেন। ।ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তার এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে রাজ্যের মুখ্য সচিব থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্র সচিব ও রাজ্যের ডিজি পদস্থ মর্যাদার আধিকারিকরা। ।এই ঘটনার পিছনে আসলে কি লুকিয়ে রয়েছে তদন্তকারীরা সেটা খুব দ্রুত জানার চেষ্টা করছে। বলাবাহুল্য, বসিরহাটের হাসনাবাদ থানার আশারিয়া নারানপুর গ্রামের বছর ৩০এর হাফিজুল মোল্লা পেশায় গাড়ি চালক।
গত সাতদিন আগে কলকাতায় কাপড় বোঝাই ভাড়া গাড়ি চালাতে গিয়েছিল সে। রবিবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে বাড়িতে ঢোকার চেষ্টার সময় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। প্রশ্ন হচ্ছে এই যুবক কেন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢোকা চেষ্টা করল।। হাসনাবাদের আশারিয়া নারায়ণপুর গ্রামে তার স্ত্রী বছর ২২ এর জেসমিনা বিবি, একটি চার বছরের শিশু কন্যাআছে।মা সেলিমা বিবি ও বাবা মইনুল মোল্লা পেশায় চাষী। দাদা মইদুল ইসলাম মোল্লা রাস্তার পাইলিং এর কাজ করে। এদিন লালবাজারের এই তদন্তকারী দল প্রতিবেশীদের সঙ্গেও কথা বলে হাফিজুল মোল্লা সম্পর্কে খোঁজ নেন।