পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বুধবার সকালেই কুয়েতের একটি ছয় তলা আবাসনে আগুন লাগে। নিমেষের মধ্যেই সেই আগুন গোটা আবাসনে ছড়িয়ে পড়ে। ওই আবাসনে মূলত অনাবাসীরাই থাকতেন। একটা বড় অংশের বাসিন্দাই ভারতীয়। অগ্নিকাণ্ডের সময় বাসিন্দারা ঘুমোচ্ছিলেন। ফলে তারা ঘর থেকে বের হতে পারেননি। এদিকে কুয়েতের আবাসনে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৯। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪০ জন ভারতীয়র। তার মধ্যে এক বাঙালি শ্রমিকেরও খোঁজ মিলেছে। তবে ওই শ্রমিকের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
মৃত ভারতীয়দের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে সরকার। ইতিমধ্যে ভারতীয়দের মৃত্যু নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনাও করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা নাগাদ কুয়েতের মানগাফ শহরের একটি বহুতল আবাসনটিতে আগুন লাগে। ওই আবাসনে ১৯৫ জন থাকতেন। অধিকাংশই পরিযায়ী শ্রমিক, যাঁদের মধ্যে অধিকাংশ ছিলেন ভারতীয়রা। ভয়াবহ এই অগ্নিকান্ডের ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে ৪১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৫০ জন। তদন্তে জানা গিয়েছে, শর্ট সার্কিটের জেরে নীচের তলায় রান্নাঘরে আগুন লাগে। কুয়েতের উপপ্রধানমন্ত্রী ফাহাদ ইউসুফ আল সাবাহ গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ইতিমধ্যেই বাড়ির মালিককে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
কুয়েতের বহুতলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শোকপ্রকাশ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর পোস্টে লেখেন, “কুয়েতের বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার কথা জেনে গভীরভাবে মর্মাহত। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে ৪০ জনেরও বেশি প্রাণ হারিয়েছেন।শোকাহত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি দিল্লিতে আমার মুখ্য সচিব এবং দিল্লির রেসিডেন্ট কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছি কুয়েতে পশ্চিমবঙ্গের বংশোদ্ভূত লোকদের সুস্থতা সম্পর্কে জানতে এবং জরুরী ভিত্তিতে সমস্ত উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রাখতে।”