পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ ফের উঠল খাশোগি হত্যা প্রসঙ্গ। গত ২৮ সেপ্টেম্বর রিয়াদে এক আলোচক্র অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুলিভান, মধ্যপ্রাচ্যের দূত ব্রেট ম্যাকগার্ক ও অন্যান্য কর্মকর্তারা সৌদি যুবরাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সৌদি আরবের অন্যান্য কর্মকর্তারা। সুলিভানের নেতৃত্বে একটি মার্কিন প্রতিনিধি দল সৌদি আরবের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক আলোচনায় এই জামাল খাশোগির হত্যার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয় ছিল ইয়েমেনের সংঘাত ও যুদ্ধবিরতি। তবে বৈঠক শেষে বাইডেন প্রশাসনের এক কর্মকর্তা ইসরাইয়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার ওয়াশিংটন সফরের বিষয়টি তুলে ধরেন। সেখানে তিনি জানান, ইসরাইয়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুলিভানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল রিয়াধে ওই বৈঠকে অংশ নেন। সেখানে খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়েও আলোচনা হয়।
এদিকে খাশোগির মৃত্যুর তৃতীয় বার্ষিকীতে শনিবার এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, ‘আমরা এমন একটি নিন্দনীয় অপরাধ যাতে আর না ঘটে তার জন্য আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি।’
উল্লেখ্য, গত ২০১৮ সালে ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলে দূতাবাসে নিহত হন সাংবাদিক জামাল খাশোগি। তিনি দি ওয়াশিংটন পোস্টের একজন বর্ষীয়ান সাংবাদিক ছিলেন। খাশোগির মৃত্যুরহস্য আরও অজানা। সৌদি আরব, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জার্মানি সরকার মনে করে যে খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে। বিশেষ করে তুরস্ক সরকার মনে করে যে এই হত্যাকাণ্ডটি পূর্বপরিকল্পিত ছিল।
সাংবাদিক খাশোগির মৃত্যুর পর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম তাঁকে নিখোঁজ বলে ঘোষণা করে। সেখানে দাবি করা হয়েছিল যে দূতাবাসের মধ্যেই জামাল খাশোগিকে গুপ্তহত্যা করা হয়। প্রমাণ লোপাটের জন্য তার দেহকে টুকরো টুকরো করে কেটে বা অন্য উপায়ে তার চিহ্ন মুছে ফেলা হয়। সংবাদমাধ্যমে খাশোগির উধাও হয়ে যাওয়ার প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলে সৌদি আরব দাবি করে যে তিনি দূতাবাস পরিত্যাগ করেছিলেন। সেই সঙ্গে জানানো হয় তাদের কাছে জামাল খাশোগির সঙ্গে কী হয়েছিল সে সম্পর্কে কোনও তথ্য নেই। অন্যদিকে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম জামাল খাশোগির দূতাবাস থেকে বের না হওয়ার সাক্ষ্যপ্রমাণ প্রকাশ করে। এরপর সৌদি আরব সরকার জামাল খাশোগির অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার সঙ্গে জড়িত থাকার ব্যাপারে অস্বীকার করে।