পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : নতুন বছরেই উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোট। ২০২৪-এ দিল্লির মসনদে বসতে হলে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে বড় জয় দরকার তা ভালই জানে গেরুয়া শিবির। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একের পর এক উন্নয়নমূলক প্রকল্প নিয়ে যোগী রাজ্যে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। তারপরও গো-বলয়ের এই রাজ্যের অনুন্নয়নকে ঢেকে রাখা যাচ্ছে না। এবার নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য সূচকেও বেআব্র যোগী রাজ্যের অপুষ্টি।
উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটের আগে নীতি আয়োগের রিপোর্টে অস্বস্তি বাড়ল যোগী সরকারের। নীতি আয়োগ একাধিক রাজ্যের স্বাস্থ্যর হালহকিকত সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করেছে। সেই তালিকায় সবথেকে নীচে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ। অর্থাৎ– যোগী রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল সব থেকে খারাপ। যা নিয়ে খোদ বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধিও যোগী সরকারের সমালোচনা করেছেন। তালিকার শীর্ষে রয়েছে বাম শাসিত কেরল। তারপরেই রয়েছে তামিলনাড়ু ।
সব রাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য পরিকাঠামো কেমন তা নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে নীতি আয়োগ। তাতে দেখা গিয়েছে বাম শাসিত কেরলের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো সবচেয়ে ভাল। তার পরেই রয়েছে তামিলনাডY। তৃতীয় স্থানে রয়েছে তেলঙ্গানা। ছোট রাজ্যগুলির মধ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবায় সবার সেরা হয়েছে মিজোরাম। আর সবথেকে খারাপ অবস্থা দিল্লি ও জম্মু-কাশ্মীরের। ২০১৮-’১৯’ অর্থবর্¡ নিরিখে এই তালিকা প্রকাশ করেছে নীতি আয়োগ। হয়েছে। এই তালিকায় সবথেকে নীচে ঠাঁই পেয়েছে উত্তরপ্রদেশ। যা নিয়ে বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধি কটাক্ষ করে বলেছেন– উত্তরপ্রদেশের মতো খারাপ স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর রাজ্যের উচিত আগে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা। ভোটের জমায়েত করে শক্তি প্রদর্শন করার থেকে যোগী সরকারের এখন উচিত করোনা বিধি আরও কড়াকড়ি করা।
এদিকে– সোমবারই জাতীয় নির্বাচন কমিশন সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে– আগামী বছর যে। ৫ রাজ্যে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা তা পিছোচ্ছে না। ওমিক্রন নিয়ে আশংকার পরিবেশ তৈরি হলেও কমিশন ভোট পিছোতে রাজী নয়। তারা নির্ধারিত সময়েই ভোট করার পক্ষপাতী।