পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যুতে ক্রমশই ঘনীভূত হচ্ছে র্যাগিং কাণ্ড। এই ঘটনায় মেদিনীপুরের ছাত্র সৌরভ চৌধুরী গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৮ বছরের মেধাবী ওই পড়ুয়ার বাবা রমাপ্রসাদ কুণ্ডুর দায়ের কথা মামলার ভিত্তিতে শুক্রবার পুলিশ গ্রেফতার করে প্রাক্তন পড়ুয়া সৌরভ চৌধুরীকে।
তবে এই ঘটনার পিছনে শুধু সৌরভই নয়, এই ঘটনার পিছনে আছে আরও অনেকেই। এদিনে সৌরভের গ্রেফতারিতে হতবাক তার গ্রাম। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মহকুমার চন্দ্রকোনা থানার খারুষা এলাকায় বাড়ি সৌরভের। নিতান্ত গরিব পরিবারে ছেলে। শৈশব থেকেই মেধাবী। বাড়িতে রয়েছেন বাবা নিরূপ চৌধুরী এবং মা প্রণতি চৌধুরী। বাবা-মায়ের দাবি, ছেলে কোনওভাবেই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে না। তবে বাবা জানিয়েছেন, ছেলে প্রকৃত দোষী হলে অবশ্যই শাস্তি চাই। তবে আজ পর্যন্ত ছেলের নামে স্কুল, কলেজে এমন কোনও অভিযোগ শুনিনি।’
স্বপ্নদীপের বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রথমে সৌরভকে আটক করেছিল যাদবপুর থানার পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে অসঙ্গতি মেলায় রাতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। সৌরভকে জেরা করার পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকজন হস্টেলের আবাসিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনজন রয়েছে পুলিশের স্ক্যানারে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, প্রয়োজনে গ্রেফতার করা হবে। সৌরভ চৌধুরী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অঙ্ক নিয়ে পড়াশোনা করেছে।
২০২২ সালে স্নাতকোত্তর হয়। কিন্তু, পাশ করে যাওয়া পরও, গত এক বছর ধরে হস্টেলেই থাকত। কিভাবে পাশ করার পর, একজন প্রাক্তনী হস্টেলে থাকতে পারেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে আবাসিকরা জানিয়েছে, যাদবপুর হস্টেলের কোনও আবাসিক, অপর কোনও পড়ুয়াকে তাঁর গেস্ট হিসেবে রাখতে পারেন, এমন নিয়ম রয়েছে।
কিন্তু পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃত সৌরভ পাশ করে যাওয়ার পরও নিজেই নিজের গেস্ট হিসেবে হস্টেলে থাকছিল এক বছর ধরে। তাহলে কি সৌরভ থাকার পিছনে কর্তৃপক্ষের মদদ রয়েছে!
সৌরভের গ্রেফতারিতে হতবাক তার প্রতিবেশীরা। তাদের বক্তব্য, সৌরভকে নিয়ে গ্রামবাসীর অনেক স্বপ্ন। তাঁরা নিশ্চিত ছিলেন বড় মানুষ হবে সৌরভ।