পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ আফগানিস্তান থেকে আসা কোনও পরিযায়ীকে নিজের দেশে আশ্রয় দেওয়া আর সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দিলেন তুরস্কের বিদেশমন্ত্রী মেভলুট ক্যাভুসোগ্লু। তালিবান কাবুল দখল নেওয়ার পর দেশ ছাড়তে মরিয়া আফগানিস্তানের মানুষ। প্রতিদিনই প্রায় শয়ে শয়ে মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন কাবুল বিমান বন্দরে। আফগানিস্তান ছেড়ে আসা মানুষদের কোনও দেশ আশ্রয় পাবে সেই চিন্তায় বহু দেশ। এদিকে এর মধ্যেই জার্মান বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে পর এক যৌথ বৈঠকে তুরস্কের বিদেশমন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, আফগানিস্তানের কোনও শরণার্থীকে তুরস্ক আশ্রয় দেবে না এই দেশের সরকার। নতুন করে অভিবাসীর বোঝা তারা আর নিতে পারবে না।
রবিবার জার্মান বিদেশমন্ত্রী হেকিও মাসের সঙ্গে এক যৌথ সম্মেলনে তুরস্কের বিদেশমন্ত্রী মেভলুট ক্যাভুসোগ্লু বলেন, তুরস্ক ইতিমধ্যেই অভিবাসন সংক্রান্ত নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব যথেষ্টভাবে পালন করেছে। এরপর ফের আফগানিস্তানে অভিবাসীদের দায়িত্ব নেওয়া তুরস্কের পক্ষে বাড়তি বোঝা। সেটা এই দেশের পক্ষে সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানের ঘটনাগুলো ২০১৫ সালের শরণার্থী সংকটের পুনরাবৃত্তির বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে। যেখানে মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ এবং দারিদ্র্য থেকে পালিয়ে আসা প্রায় এক মিলিয়ন মানুষ গ্রীস থেকে তুরস্কে চলে আসে। রিফুইজি আসা রুখতে ইইউ ২০১৬ সালে তুরস্কের সঙ্গে একটি চুক্তি করে।
ক্যাভুসোগ্লু আরও বলেন, আফগানিস্তান থেকে আসা রিফিউজিদের অন্যান্য আঞ্চলিক দেশগুলির আশ্রয় দেওয়ার আগে একবার সিরিয়ার শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার পর অবস্থা কি হয়েছিল সেটা ভেবে দেখা দরকার।
উল্লেখ্য, তুরস্ক ইতিমধ্যেই তিন লক্ষ আফগান ছাড়াও ৩.৭ লক্ষ সিরিয়ান শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে। প্রধানত সবচেয়ে বড় শরণার্থীদের আশ্রয়দাতা দেশ হিসেবে তুরস্ক পরিণত হয়েছে।