বিশেষ প্রতিবেদন: ইহুদি সেনা ও দেশবাসীর মনোবল বাড়াতে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি যোদ্ধাকে হত্যা করার মিথ্যা দাবি করছে ইসরাইল! কারণ, হামাসের হামলায় ইসরাইলি দর্প চূর্ণ হয়েছে, ধাক্কা খেয়েছে যায়নবাদীদের ফিলিস্তিনি ভূমি দখলের পরিকল্পনা। এরই পাশাপশি ‘আল-আকসা তুফান’ অভিযানে গোয়েন্দা ও সামরিক ভাবে সম্পূর্ণ পর্যদুস্ত হয়েছে ইসরাইলি গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা বিভাগ। এখন ইসরাইল চেষ্টা করছে তার ছত্রভঙ্গ হয়ে যাওয়া পুলিশ, সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীকে পুনর্গঠন করার। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর সদস্য সংখ্যা ৪ লক্ষ ৫০ হাজারেরও বেশি। তারপরও ইসরাইল তার রিজার্ভ ফোর্স তলব করেছে। হামাস যোদ্ধারা যেসব ইসরাইলি সেনা ও কমাণ্ডারদের বন্দি করেছে তা নিয়েও দুশ্চিন্তায় নেতানিয়াহু সরকার।
হামাসের আচমকা হামলায় ইসরাইলিরা দিশেহারা ও মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। আর এই কারণেই গাজায় ইসরাইলি সেনাবাহিনীর স্থল অভিযান সম্ভব হচ্ছে না। ফিলিস্তিনি মুজাহিদদের রকেট হামলা অব্যাহত রয়েছে। ইসরাইল এসব রকেট প্রতিরোধের দাবি করলেও আসলে দেশটির অন্দরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। ফলে ইসরাইল সরকারের ওপর থেকে ভরসা উঠে যাচ্ছে দেশটির জনতার। স্বভাবতই অত্যন্ত জটিল পরিস্থিতি বিরাজ করছে ইসরাইলে। দু’দিন আগেই সীমান্তের ২২ টিরও বেশি স্থান দিয়ে নানা উপায়ে ইসরাইলে প্রবেশ করে শত শত হামাস যোদ্ধা। এতে করে ইসরাইলিদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। তারা দেশ ত্যাগ করে ইউরোপের কোনও দেশে আশ্রয় নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। ইসরাইল থালি হয়ে যাওয়ার ভয়ে সরকার তাই দাবি করে যে, হামাস যোদ্ধাদের হত্যা করেছে ইহুদি সেনা। কিন্তু এই দাবির সাপেক্ষে কোনও প্রমাণ দেখায়নি নেতানিয়াহু সরকার।