পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ লাতিন আমেরিকার বুকে তৈরি হতে চলেছে একটি ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়। ব্রাজিলের সাও পাওলোতে স্থাপিত হবে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এর ফলে ওই অঞ্চলের আগ্রহী শিক্ষার্থীরা বাইরে না গিয়েই ইসলামি শিক্ষা অর্জন করতে পারবে। সম্প্রতি ব্রাজিলের সাও পাওলো শহরে লাতিন আমেরিকান ইসলামিক অ্যাসোসিয়েশন মিনেসোটা ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে একটি চুক্তি করে। প্রাথমিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়টির সদর দফতর সাও পাওলোতে থাকবে বলে ঠিক হয়েছে। ক্লাস হবে পর্তুগিজ ভাষায়। এছাড়া মেক্সিকো সিটিতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও একটি ক্যাম্পাস েখালা হবে। সেখানে ক্লাস হবে স্প্যানিশ ভাষায়। আয়োজকরা বলছেন– এর ফলে এ অঞ্চলের মুসলিমরা মধ্যপ্রাচ্যে না গিয়েই নিজস্ব অঞ্চলে পড়াশোনা করার সুযোগ পাবে। লাতিন আমেরিকার ইসলামি বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যাপারে আলোচনা চালিয়ে আসছিলেন।
আয়োজকদের অন্যতম জিয়াদ সাইফি বলেন– ’আমরা আপাতত এ দুই স্থানে কার্যক্রম শুরু করতে চাই। আমাদের প্রত্যাশা– অন্যান্য দেশেও শাখা চালু হবে। তিনি বলেন– প্রোগ্রামটি সউদি আরবের ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব মদিনা এবং মিশরের আলআযহার ইউনিভার্সিটির ঐতিহ্যবাহী ইসলামিক কোর্স থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মিশরীয় বংশোদ্ভুত শেখ আবদুল হামিদ বলেন– ’আমরা মানুষকে ইসলামি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে শিক্ষিত করতে চাই। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য শুধু ভবিষ্যত প্রজন্মকে শিক্ষিত করা নয়– বরং যে ইসলাম সম্পর্কে তার জ্ঞানকে আরও বিস্তৃত করতে চায়– তাকে সাহায্য করা। এতে অমুসলিম শিক্ষার্থীরাও ক্লাসে ভর্তি হতে পারবে উল্লেখ করে তিনি বলেন– ’আমরা মানুষকে সহজভাবে ইসলাম সম্পর্কে শিক্ষিত করতে চাই। মুসলিম-অমুসলিম উভয়েরই আমাদের ধর্ম সম্পর্কে আরও ভালোভাবে বোঝার প্রয়োজন রয়েছে।’ কর্তৃপক্ষ আশা করছে– চলতি বছরের আগস্টেই বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম শুরু হবে। সাওপাওলোতে স্থায়ী ক্যাম্পাস থাকলেও কোভিড পরিস্থিতিতে লাতিন আমেরিকার বেশিরভাগ দেশে অনলাইন ক্লাস চালু হবে।