পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ কোভিড ১৯ আমাদের জীবন চর্যাটা একদম বদলে দিয়েছে। বিগত ২ টি বছর ধরে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে মাস্ক দিয়ে নাক ও মুখ ঢাকা। সঙ্গে মাথাটাও ঢেকে রাখা। যাতে জীবাণুর অনুপ্রবেশ না হয়। এখন ওমিক্রন আতঙ্ক তাকে আরও বেশি করে শিলমোহর দিয়েছে।
খুব সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমস ইসলামিক ফ্যাশন অ্যান্ড ডিজাইন কাউন্সিলের প্রধান আলিয়া খানের নারীদের ফ্যাশনসংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
আলিয়া খান ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, করোনাক্রান্ত বিগত দু বছরে বিশ্ব এমন এক পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করল, যা মানবজীবনকে আমূল বদলে দিয়েছে। ঘরে ও কর্মক্ষেত্রে যেসব কঠোর পরিবর্তন এসেছে, তা মানুষের পোশাক-পরিচ্ছেদ পরিধান পদ্ধতিকে বেশ প্রভাবিত করেছে।
আলিয়া লিখেছেন সাধারণ ভাবে শৈশব থেকেই একজন মুসলিম ছেলে বা মেয়ে শালীন ও সংযমপূর্ণ পোশাকেই অভ্যস্ত হয়ে ওঠে।
আলিয়া বলছেন প্রকৃতি, বাস্তবতা এবং শালীনতা ও বিশুদ্ধ জীবনযাত্রার প্রতিনিধিত্ব করে ইসলামি ফ্যাসন। তাও যখন একজন মুসলিম নারী হিজাব পরছেন বা নেকাবে মুখ ঢাকছেন তাকে চরম হেনস্তা করছে পশ্চিমা দেশগুলোর মিডিয়া।
উদাহরণ স্বরুপ এই ইসলামিক ফ্যাসন ডিজাইনার লিখেছেন প্যারিসে মাস্ক না পরলে ১৩৫ ইউরো জরিমানা হয়, সেখানে নেকাবে মুখ ঢাকলে মুসলিম মহিলার থেকে ১৫০ ইউরো জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। কেন এই বৈষম্য।
কিন্তু কোভিড-১৯ আক্রান্ত বিগত দুই বছরে মাস্ক বিশ্বে নিকাবের প্রতীক হয়ে উঠেছে। মুখ ঢেকেরাখা এখন আমাদের সামাজিক সৌজন্য বোধ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আলিয়া লিখেছেন শিখ, ইহুদি, বৌদ্ধ, ক্যাথলিক অনেক সম্প্রদায়ের মহিলা বা পুরুষ , মহিলা উভয়ই মাথা ঢাকেন, তা নিয়ে কেন মাথা ব্যাথা নেই।