পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর কুন্দুজের একটি শিয়া মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। শুক্রবার জুম্মার নামায পড়ার জন্য মসজিদে যান মুসল্লিরা। নামায চলাকালীন হঠাৎই বিষ্ফোরণ ঘটে। এতে প্রাণ যায় অন্তত ৫০ জনের। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। বিস্ফোরণের ঠিক পরেই আশংকা করা হচ্ছিল অনন্ত শতাধিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বখতার নিউজ এজেন্সি সূত্র ধরে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলায় ৪৬ জন নিহত এবং ১৪৩ জন আহত হয়েছেন। হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। আফগানিস্তানের দুই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, হামলায় নিহতের সংখ্যা ৭০ থেকে ৮০ জনের মতো।
রক্তপাতহীনভাবে গত ১৫ আগস্ট তালিবান আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখলে নেয়। এরপর টানা এক মাস অরাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হয় দেশটিতে। ৩১ আগস্ট আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার কাজ সমাপ্ত করে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। এর মাঝেই গুলিতে, বিস্ফোরণে দেশটিতে তিন শতাধিক মানুষ প্রাণ হারান। ভয় আর আতঙ্কে দেশ ছাড়েন বহু আফগান নাগরিক। তালিবান নতুন সরকার গঠনের এক মাসের মাথায় আবারও অস্থিরতা তৈরি হয়েছে দেশটিতে।
এই বিস্ফোরণ যে তালিবান সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য, সে বিষয়েই অনেকেই একমত। তালিবান চাইছে দেশ উন্নতি করুক তাদের নেতৃত্বে। পড়শী দেশ ভারতের কাছেও তারা সহযোগিতা প্রার্থনা করেছে। উন্নয়নে তাদের শরিক হতে বলেছে। আফগানিস্তানে তালিবান শাসনকালে শিয়া মসজিদে হামলা প্রমাণ করছে, সেখানে শিয়া ও সুন্নিদের মধ্যে ফের একটা রক্তক্ষয়ী হিংসা চাইছে চক্রীরা। তাতে তালিবান সরকারের ভাবমূর্তিতে আঁচড় কাটা আরও সহজ হবে। আফগানিস্তান নিয়ে আপাতত ধীরে চলো নীতি নিয়েছে ভারত। এখনও তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি নয়া দিল্লি।