পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ধারাবাহিকভাবে চারবার ভারত’কে কালো তালিকাভুক্ত করার সুপারিশ ইউএস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডমের। ক্ষুণ্ণ হচ্ছে ধর্মীয় স্বাধীনতা। আক্রান্ত হচ্ছে আন্দোলনকারী, আইনজীবী বাদ পড়েনি গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সাংবাদ মাধ্যম’ও। সম্প্রতি এই যুক্তি দেখিয়ে ফের একবার মোদির ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’কে’ কালো তালিকাভুক্ত করার সুপারিশ ইউএস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডমের।
উল্লেখ্য, প্রতি বছরই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ধর্মীয় ও নাগরিক স্বাধীনতা সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করে ইউএসসিআইআরএফ। একইভাবে চলতি বছরের রিপোর্ট সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে ভারত সহ বিভিন্ন দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে। যাতে বলা হয়েছে, ক্রমাগত ভারতের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি খারাপ হয়ে চলেছে। ২০২২ সালের পর থেকে সেটা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। দাবি করা হয়েছে, আন্দোলনকারী, সাংবাদিক ও আইনজীবীদের চুপ করাতে নানা ভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে দেশের সরকার। যা সম্পূর্ণভাবে ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ।
এছাড়াও কানাডায় হরদীপ সিংহ নিজ্জরের হত্যা এবং আমেরিকায় গুরুপতবন্ত সিংহ পন্নুনকে হত্যার চক্রান্তে ভারতের নাম জড়ানোর কথাও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এর ভিত্তিতেই বাইডেন সরকারের কাছে মোদির ভারতকে কালো তালিকাভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে ভারতীয় দূতাবাস এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। প্রসঙ্গত, ২০২০ সাল থেকেই প্রতি বছরই এই ধরনের কথা বলে আসছে মার্কিন সংস্থাটি। অন্যদিকে প্রতিবারেই এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। তবে এবার এখনও ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।