পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ দীর্ঘ ২০ বছর। একটু একটু করে নিজেদের তৈরি করেছে তালিবান। আরও শক্তিশালী করে তুলছিল নিজেদের। তালিবান গোটা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে, লক্ষ্য স্থীর থাকলে তা হাসিল করা সম্ভব। ১৫ আগস্ট কাবুল দখল নিয়েছে তালিবান। গোটা বিশ্বের চোখ আপাতত সেই দিকেই। সরিয়ে নেওয়া হয়েছে মার্কিন সেনা। ইতিমধ্যে অন্তর্বতীকালীন মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে। যার শীর্ষে রয়েছে মোল্লা আখুন্দ। তবে তালিবানের স্বীকৃতি নিয়ে দ্বন্দ্বে বহু দেশ। কাতারের মতো দেশ নয়া তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দিলেও ভারত-সহ অনেকেই এখনও তাদের স্বীকৃতি দেয়নি। তবে এবার তালিবানকে স্বীকৃতি দিতে পারে ভারত। এই নিয়ে দিল্লিতে তোড়জোড় চলছে। এই সপ্তাহেই হয়তো সেই খবর সামনে আসতে পারে। এ মাসের ১৭ তারিখ তাজকিস্তানে হতে চলেছে সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠক। এই বৈঠকে যোগ দেবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। ভার্চুয়ালি সেই বৈঠকে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। মনে করা হচ্ছে এই বৈঠকেই তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে গ্রীন সিগন্যাল মিলতে পারে। কূটনৈতিক মহলের দাবি, গত সপ্তাহে দিল্লিতে আমেরিকা ও রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকে তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে কার্যত নীল-নকশা তৈরি করা ফেলা হয়েছে। ভারত অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে একটি যৌথ বিবৃতিতে স্বীকার করেছে যে, তালেবান আফগানিস্তান জুড়ে ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব দখল করেছে। একটি দেশের ক্ষমতাসীন শক্তি হিসেবে তালেবানকে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে সরকারিভাবে একটি দেশের সরকার হিসেবে তালেবানকে এখনও স্বীকৃতি দেয়নি বিশ্বের অধিকাংশ দেশ। যাদের মধ্যে ভারত ছাড়াও রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এই অবস্থায় দিল্লি চায় তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দিয়ে তাদের আঁচ থেকে কাশ্মীরকে বাঁচাতে। আর এই ইস্যুতে দিল্লির পাশে আছে অস্ট্রেলিয়াও।