শুভ্রজ্যোতি ঘোষঃ দুবাইয়ে তখন ভারত পাকিস্তান মুখোমুখি হতে কিছুটা সময় বাকি। কলকাতার রাজপথ থেকে বাইপাস জুড়ে কোথাও সেই ম্যাচের রেশমাত্র খুঁজে পাওয়া গেল না। কারণ কলকাতায় যে ফুটবল উৎসব। মরশুমের প্রথম ডার্বি। আর সেই ডার্বি ঘিরে উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। কোথাও ম্যাটাডোর ভর্তি করে চলেছেন মোহনবাগান সমর্থকরা। কোথাও আবার ট্রাক ভর্তি করে ইস্টবেঙ্গল সমর্থক।
পনেরো মিনিটের রাস্তা পৌঁছতে লেগে যাচ্ছে প্রায় পয়ত্রিশ মিনিট। বাঙালির সমস্ত আবেগ যেন এসে এক হয়ে গেল যুবভারতীতে। সমর্থকদের টিপ্পনিতে কান পাতা দায়। কোথাও বাসের মধ্যে থেকে মোহন সমর্থকরা টিপ্পনি কাটছেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের, আবার তার পাল্টাও ছুঁড়ে দিচ্ছেন লাল হলুদ সমর্থকরা।
আবার কোথাও একসঙ্গে দুই দলের সমর্থকরা দাঁড়িয়ে ফোটো সেশনও করছেন। যুবভারতী স্টেডিয়ামে কোথাও মোহন সমর্থকরা নিজেদের পতাকার সঙ্গে সঙ্গে দেশের জাতীয় পতাকা নিয়ে প্রবেশ করলেন, আবার কোনও গেট দিয়ে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা প্রবেশ করলেন প্রায় কুড়ি ফুট পাতাকা নিয়ে। কড়া নিরাপত্তার বলয়ে ঘিরে ফেলা হল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন। প্রতিটি সমর্থককে ঢোকার মুখে আদ্যপ্রান্ত চেকিং করিয়ে প্রবেশ করানো হল। একটা মাছি গলারও জায়গা নেই।
দুই বড় প্রধানের ডার্বিকে কেন্দ্র করে যেন এক উৎসবের আবহ তৈরি হল, যে আবহে রইল আবেগ, যে আবহে রইল প্রতিদ্বন্দ্বিতা যে আবহে রয়ে গেল অফুরন্ত আনন্দ । সব মিলিয়ে মরশুমের প্রথম ডার্বির আবহে যেন প্রাণ ফিরে পেল কল্লোলিনী কলকাতা।