পারিজাত মোল্লা: মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই । গত ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষায় ওএমআর শিট কোথায়? তা জানতে চায় কলকাতা হাইকোর্ট। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ হাইকোর্টকে জানায়, -‘ অত উত্তরপত্র রাখার স্থানাভাবে তা পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে’।
তবে এদিন এজলাসে সিবিআই আদালতকে জানালো, -‘পুড়িয়ে ফেলা হয়নি ওই সব ওএমআর শিট।তার বদলে ওড়িশার বালেশ্বরের একটি কাগজ প্রস্তুতকারী সংস্থার কাছে কেজি দরে বিক্রি করে দেওয়া হয়, লক্ষ্য ছিল নষ্ট করা’। ওড়িশার ওই সংস্থা জানায়, -‘ ২০১৮ সালে তারা ২০০ কুইন্টালের বেশি ওএমআর শিট নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। তা দিয়ে নতুন কাগজ তৈরি হয়েছে’।
সিবিআই টেট নিয়ে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি করেছে কলকাতা হাইকোর্টে। যে সংস্থাকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ নিয়োগ পরীক্ষার দায়িত্ব দিয়েছিল, সেই এস বসু রায় এন্ড কোম্পানি আসলে একটি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফার্ম। গত ২০২২ সাল পর্যন্ত সংস্থাটি এই হিসাবেই নথিবদ্ধ ছিল। পরে বেশ কিছু বিষয় সংস্থার কাজের ক্ষেত্র হিসাবে যুক্ত করা হয়।
আর সেই সংস্থার মাধ্যমেই পর্ষদ ওএমআর শিট তৈরি থেকে পরীক্ষা নেওয়া এবং মূল্যায়ন করে। সিবিআই মঙ্গলবার হাইকোর্টে দাবি করেছে, -‘ এই সংস্থাকে সামনে রেখে দুর্নীতি চলছিল। পর্ষদের এক শ্রেণির কর্মীরা এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
এমন ভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছিল, যাতে কোন ওএমআর শিট কার, তা কেউ আলাদা করে চিহ্নিত করতে পারবেন না’। কলকাতা হাইকোর্টে পেশ করা রিপোর্টে সিবিআই এমনটাও দাবি করেছে যে, -‘বেআইনি ভাবে পরীক্ষার নথি নষ্ট করা হয়েছে’।