মুম্বাই, ৩ জুন: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গাফিলতি কারণেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে বড় বড় ঋীণ খেলাপি ব্যবসায়ীরা। নীরব মোদী, বিজয় মালিয়া এবং মেহুল চোকসির মত ব্যবসায়ীরা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন কারণ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি তাদের সময়মতো গ্রেফতার করতে পারেনি। সোমবার এমনই মন্তব্য করে মুম্বাইয়ের একটি আদালত। এক মামলার শুনানিতে আদালত বলেছে, “ইডিই মূলত এই ধরনের ব্যক্তিদের কোনও আশঙ্কা ছাড়াই বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি দিয়েছে।”
গত ৩০ মে আর্থিক তছরুপের একটি মামলা চলছিল বিচারক এমজি দেশপাণ্ডের এজলাসে। মামলার শুনাতি ব্যোমেশ শাহ নামের এক ব্যবসায়ী কাজের উদ্দ্যেশে বিদেশে যাওয়ার জন্য জামিনের শর্ত শিথিলের আবেদন জানিয়েছিলেন। যদিও সেই আবেদনের বিরোধীতা করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আদালতকে ইডি বলে, দেশ থেকে অনেক ব্যবসায়ী পালিয়ে গিয়েছে। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করে আর্থিক তদন্তকারী সংস্থাটি। সেই আশঙ্কার কারণেই জামিনের শর্ত শিথিল করা উচিত হবে না বলে জানাই ইডি। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের এই মন্তব্যের পরই বিচারক বলেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলো দ্রুত ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় এসব ব্যবসায়ী পালিয়ে গিয়েছে। বিচারক আরও বলেন, “আমি দু’পক্ষের যুক্তি এবং সওয়াল-জবাব খতিয়ে দেখেছি। এটা উল্লেখ করা দরকার যে, এই সমস্ত ব্যবসায়ীরা পালাতে পেরেছেন, কারণ সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী সংস্থা তাঁদের গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয়েছে।”
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের অর্থ পাচার মামলায় অভিযুক্ত ব্যোমেশ শাহ জামিনে মুক্তি পেলেও আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশের বাইরে যেতে পারবে না বলে নির্দেশ দিয়েছিল বিচারক। ব্যোমেশ যুক্তি দিয়েছিলেন তার কাজের জন্য ঘন ঘন বিদেশ যাওয়া প্রয়োজন। এরপরই জামিনের শর্ত শিথিলে রাজি হন বিচারপতি। আদালত জানায়, বিদেশ ভ্রমণের আগে শাহকে অবশ্যই তার ভ্রমণের পরিকল্পনার কথা ইডিকে জানাতে হবে।