আবদুল ওদুদঃ ‘বাংলায় আমরা এক তাই এদিনের সম্মেলনে আমরা এক শক্তি। বাংলায় সাম্প্রদায়িকতাকে রুখতে আমরা সকলেই এক। এটাই আমাদের ঐক্য। ধন্যবাদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে, বাংলা গোটা দেশকে পথ দেখাচ্ছে। এক খোদা ছাড়া কারো কাছে মাথা নত করব না’। সোমবার কলকাতার নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ইমাম সমাবেশে এই কথা বলেন কলকাতা পুর সভার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। তিনি আরও বলেন, আল্লাহ তোমার হাজার হাজার শুকরিয়া। বাংলায় ভেদাভেদ নেই। ইমাম সাহেবরা আমাদের মাঝি এরাই আমাদের পার করে নিয়ে যাবেন।
ইমামরা না থাকলে আমাদের জীবন জিরো। বিজেপিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ফিরহাদ হাকিমকে ওরা û দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে তুলনা করেû। কিন্তু এপিজে আবুল কালামের সঙ্গে করা হয় না। এরা গোটা দেশে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। এই বর্বরতা থাকবে না। সমগ্র মুসলিম সমাজ একত্রিত হয়ে বলবে মমতা তুমি এগিয়ে চলো আমরা তোমার পাশে আছি। আমাদের পথ সঠিক আর এই পথেই আমাদের চলতে হবে।
মাওলানা ইমাম রশিদি বলেন, আমাদের ইনসাফের জন্য লড়াই করতে হবে। আমদের ছেলে মেয়েরা এখানে পড়াশুনা করুক আর এদেশের উন্নতির জন্য তারা কাজ করবে।
ইটাহারের বিধায়ক মোশারফ হোসেন গত ২ মাস ধরে ইমাম সমাবেশকে সফল করার জন্য যাঁরা কাজ করে চলেছেন তাঁদের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, বাংলাই পারে একমাত্র দেশকে পথ দেখাতে । আর মমতার হাত ধরে দিল্লিতেই প্রতিষ্ঠিত হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বধীন সরকার।
ক্বারী ফজলুর রহমান ইমামদের কাজকর্ম নিয়েও সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ইমামদের আরও দায়িত্ব নিতে হবে। ইমামদের আরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান, আইএএস পিবি সালিম, আইএএস গুলাম আলি আনসারী,ওয়াকফ বোর্ডের সিইও আহসান আলি, সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান আহমদ হাসান ইমরান, ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান আবদুল গণি।
সাংসদ খলিলুর রহমান, নাদিমুল হক, মন্ত্রী মলয় ঘটক, গোলাম রব্বানী, আখরুজ্জামান, বিধায়ক ইদ্রিশ আলি, মুহাম্মদ আলি।
মঞ্চে আরও বক্তব্য রাখেন, মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, পীরজাদা একেএম ফারহাদ, হাসানুজ্জামান, মাওলানা বাকিবিল্লাহ, মাওলানা আবদুল্লাহ, নিজামুদ্দিন বিশ্বাস, আবদুর রেজ্জাক, সাহুদ আলম প্রমুখ।
অন্যদিকে প্রায় ৪০ হাজারের ইমাম এবং মুয়াজ্জিন এই সমাবেশে যোগ দেন। তাঁদের জন্য সকাল থেকেই বিরিয়ানি এবং পানির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তার দায়িত্ব ছিলেন রাজ্য হজ কমিটির সদস্য কুতুবউদ্দিন তরফদার। সকাল থেকেই প্রত্যেকের হাতে বিরিয়ানিরঙ প্যাকেট ও পানি তুলে দেন। গত দুমাস ধরে ইমাম সমাবেশকে সফল করতে যারা কাজ করে চলেছেন তাদের প্রতি শুকরিয়া আদায় করেন।